পথকুকুরের সংখ্যা বাড়ছে, নির্বীজকরণ আইআইটিতে

গোটা শহরে কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে কেন এমন শিবিরের আয়োজন করা হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুরসভার অবশ্য দাবি, দ্রুত পরিকাঠামো তৈরি করে তারাও এমন শিবিরের আয়োজন করবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৯ ০০:৫৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাস্তায় বাড়ছে পথকুকুরের সংখ্যা। রাত বিরেতে বাড়ি ফেরার সময়ে পথ কুকুরের তাড়ায় আহত হচ্ছেন অনেকে। বাড়ছে জলাতঙ্কের আতঙ্ক। সমস্যা মেটাতে পথকুকুরদের জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য নির্বীজকরণের দাবি অনেক দিনের। পুরসভা বহু বার এই কাজ করার আশ্বাস দিলেও কাজ হয়নি। এ বার নিজেদের ক্যাম্পাস চত্বরে পথ কুকুরের নির্বীজকরণ করতে উদ্যোগী হল খড়্গপুর আইআইটি। আইআইটি চত্বরে এমন কর্মসূচি হলেও গোটা শহরে কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে কেন এমন শিবিরের আয়োজন করা হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুরসভার অবশ্য দাবি, দ্রুত পরিকাঠামো তৈরি করে তারাও এমন শিবিরের আয়োজন করবে।

Advertisement

রবিবার খড়্গপুর আইআইটি চত্বরে ২০টি পথকুকুরের নির্বীজকরণ করা হয়। মূল আয়োজনে ছিলেন ওই প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তারক্ষীরা। সহযোগিতায় ছিল প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতর ও সোনামুখির একটি ক্লাব। আইআইটির একটি ভবনে অস্থায়ী অপারেশন থিয়েটার তৈরি করে প্রাণী চিকিৎসকেরা পথকুকুরের নির্বীজকরণ অস্ত্রোপচার করেন। ছিলেন প্রানী সম্পদ বিকাশ দফতরের জেলা উপ-অধিকর্তা তুষার সামন্ত, রাজ্য প্রাণী চিকিৎসা কেন্দ্রের (খড়্গপুর) পশু বিশেষজ্ঞ শান্তি বিশুই প্রমুখ। সোনামুখীর ক্লাবটির কর্তা মহাদেব মণ্ডল বলেন, “আগামী দিনে খড়্গপুর পুর এলাকার অন্যত্রও এমন শিবির হয় সেই চেষ্টা চালাচ্ছি।”

পথকুকুরের হাত থেকে বাঁচতে তাদের নির্বিচারে মারধরের অভিযোগও উঠছে। বছর খানেক আগে আইআইটি চত্বরেও পথকুকুরদের মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। খড়্গপুরের মালঞ্চর বাসিন্দা অভিষেক যাদব বলেন, “প্রতিটি এলাকার গলিতে পথকুকুরের সংখ্যা এত বেড়েছে যে রাস্তায় চলা দায়। পুরসভা নির্বীজকরণের কথা বারবার বললেও সেটা কেন শুরু করতে পারছে না, সেটাই প্রশ্ন।’’

Advertisement

জেলা প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আইআইটি উদ্যোগী হওয়ায় আমরা তাঁদের সহযোগিতা করছি। আমাদের চিকিৎসক দিয়ে অপারেশন করছি। পুর এলাকায় এমন শিবির করতে পুরসভাকে পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। তবে এখনও পর্যন্ত খড়্গপুর পুরসভার পক্ষ থেকে কোনও প্রস্তাব পাইনি।’’ পুরপ্রধান প্রদীপ সরকারের আশ্বাস, নির্বীজকরণের জন্য দু’টি ঘর প্রয়োজন। মহকুমা হাসপাতালের একটি জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। পুরসভার আগামী বৈঠকে ওই পরিকাঠামো তৈরির অর্থ বরাদ্দ করে প্রাণী দফতরের মাধ্যমে এই কাজ করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement