শিউলি সাহা।—ফাইল চিত্র।
টানাপড়েনে ইতি! শেষমেশ কেশপুর কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হলেন স্থানীয় বিধায়ক শিউলি সাহা। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজের পরিচালন সমিতির বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে এই সভাপতি নির্বাচন হয়েছে। বৈঠক শেষে শিউলিদেবী বলেন, “ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক আরও সুন্দর করতে হবে। সকলকে সঙ্গে নিয়েই এই কলেজের শ্রীবৃদ্ধি ঘটানোর সব রকম চেষ্টা করব।”
কেশপুর কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বৈঠকের শুরুতে পরিচালন সমিতির নতুন সভাপতি হিসেবে শিউলিদেবীর নাম প্রস্তাব করেন কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের শুভ্রা দে সেনগুপ্ত। বৈঠকে উপস্থিত সকলে সেই প্রস্তাব সমর্থন করেন। পরে কেশপুর কলেজের অধ্যক্ষ দীপক ভুঁইয়া বলেন, “সর্বসম্মতিক্রমেই এ দিন নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে।” ঐক্যমতের ভিত্তিতে তাঁকে সভাপতি নির্বাচিত করায় সকলকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন শিউলিদেবী।
কেশপুর কলেজে পরিচালন সমিতির সভাপতি নির্বাচন নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে টানাপড়েন চলছিল। শিউলি-অনুগামীদের বক্তব্য, পরিচালন সমিতিতে সরকার মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে দু’জনের নাম আগেই চূড়ান্ত হয়েছিল। নাম চূড়ান্ত করে তা কলেজে পাঠিয়েও দেয় রাজ্য সরকার। পরে কলেজের পরিচালন সমিতির বৈঠক হয়। তবে সেই বৈঠকে নতুন দুই সদস্যকে ডাকা হয়নি। কলেজের এক সূত্রের অবশ্য দাবি, নতুন নির্দেশিকা কলেজে সরাসরি এসে না- পৌঁছনোয় তখন ওই দুই সদস্যকে ডাকা যায়নি।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে কেশপুর কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি হয়েছিলেন রজনীকান্ত দোলুই। রজনীবাবু কেশপুরের প্রাক্তন বিধায়ক। তার আগে পরিচালন সমিতির সভাপতি ছিলেন চিত্তরঞ্জন গড়াই। ২০১৫ সালের নভেম্বরে সমিতির মেয়াদ ফুরোয়। পরে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশে মেয়াদ তিন মাসের জন্য বাড়ানো হয়।
গত ফেব্রুয়ারিতে সরকার মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে রজনীকান্তবাবুর নাম কলেজে আসে। পরে তিনিই সভাপতি হন। দলের এক সূত্রে খবর, কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতির পদ নিয়ে ওই টানাপড়েনে ইতি টানতে তত্পর হন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। সমস্যা সমাধানে আলোচনা হয়। ঠিক হয়, বৈঠকে শুভ্রাদেবীই নতুন সভাপতি হিসেবে শিউলিদেবীর নাম প্রস্তাব করবেন। সেই মতোই এদিন শিউলিদেবীর নাম প্রস্তাব করেন শুভ্রাদেবী। অন্য কোনও নাম কেউ প্রস্তাব করেনি। ফলে, সর্বসম্মতিতেই কেশপুর কলেজের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন শিউলিদেবী।
এ দিন কেশপুরের তৃণমূল বিধায়ক শিউলিদেবী বলছিলেন, “কলেজের মানোন্নয়নে সকলকে নিয়েই আগামী দিনে চলতে চাই। আশা করি, কলেজের উন্নয়নে সকলের কাছ থেকেই প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাবো।”