মাটি ফেলা নিয়ে বিবাদে বাধা পেল কেলেঘাই নদী সংস্কারের কাজ। বৃহস্পতিবার নারায়ণগড়ের নলঝরা গ্রামে মাটি কাটার যন্ত্র চালাতে দেয়নি গ্রামবাসী।
গত বছর সবং থেকে নারায়ণগড়ের খুরশি গ্রাম পঞ্চায়েতের পাহাড়পুর পর্যন্ত কেলেঘাই সংস্কারের কাজ হয়েছিল। গত জানুয়ারি থেকে নারায়ণগড়ের পাহাড়পুর থেকে পোক্তাপোল পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার কেলেঘাই নদী সংস্কারের কাজে নেমেছে সেচ দফতর। এখন নলঝরা এলাকায় কাজ চলছিল। কিন্তু গত তিনদিন ধরে ওই এলাকায় নদী সংস্কারের মাটি ফেলা নিয়ে অশান্তি শুরু হয়। গ্রামে মাটি ফেলার দাবি তুলেছিল গ্রামবাসী। তা না হওয়ায় এ দিন তারা কাজে বাধা দেয়।
বন্যা ঠেকাতে ২০১০ সালে কেলেঘাই-কপালেশ্বরী নদীর সংস্কারে ৬৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে রাজ্য সরকার। ২০১১ সালে পালাবদলের পরে শুরু হয় কাজ। সবংয়ের কেলেঘাইয়ের পূর্ব দিকে আগেই কাজ হয়েছিল। এ বার পশ্চিম অংশে নারায়ণগড়ের বিস্তীর্ণ এলাকায় কাজ চলছে। নলঝরার গ্রামবাসীর দাবি, এই এলাকা বন্যাপ্রবণ। তাই নদী থেকে তোলা মাটি গ্রামেই ফেলার কথা ছিল। কিন্তু তা এখন গ্রামে না ফেলে নারায়ণগড় থানা সংলগ্ন এলাকায় ফেলা হচ্ছে। এর পিছনে অসাধু কারবার রয়েছে বলে গ্রামবাসীর অভিযোগ। টাকার বিনিময়ে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে বলেও দাবি তাদের। স্থানীয় একজনের কথায়, “এর পিছনে এলাকার কিছু মাটি মাফিয়া যুক্ত রয়েছে। প্রশাসনও জেনে-বুঝে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। গ্রামের নিচু জমিতে মাটি না পড়লে কাজ বন্ধ থাকবে।”
তিনদিন ধরেই নদী সংস্কারের কাজ নিয়ে গ্রামে অশান্তি চলছিল। এ দিন মাটি কাটার যন্ত্র, ট্রাক্টর এলে কাজে বাধা দেয় গ্রামবাসী। খবর পৌঁছয় ব্লক প্রশাসনে। বিডিও মানিক সিংহ মহাপাত্র বলেন, “যে সংস্থা নদী সংস্কারের কাজ করছে তাঁরা আমাকে এখনও কিছু জানায়নি। তবে স্থানীয়ভাবে খবর পেয়েছি। বিষয়টি দেখছি।” আর জেলা সেচ কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষের বক্তব্য, “মাটি ফেলা নিয়ে গোলমালে কাজ বন্ধ বলে শুনেছি। যে গ্রামে মাটি তোলা হচ্ছে সেই গ্রাম নিশ্চয়ই আগে মাটি পাবে। খুব দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে ফেলা হবে।”