নিরাপত্তার ঘেরাটোপে অভিষেকের সভা। নিজস্ব চিত্র।
সালটা ছিল ২০১৫-র ৪ জানুয়ারি। সে দিন বিকেল ৪টে নাগাদ পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে খোলা মাঠে এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে ওঠেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। সেই সময় হঠাৎ সাংবাদিকদের আসন থেকে সোজা মঞ্চে উঠে আসেন এক যুবক। চকিতে এক চড় কষিয়ে দেন অভিষেকের গালে। তার পরেই শুরু ধুন্ধুমার কাণ্ড। পরে জানা যায়, ওই যুবক আসলে তমলুকের বাসিন্দা দেবাশিস আচার্য। নিছকই মানসিক সমস্যা থেকেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন তিনি। সব কিছু জানার পরে অবশ্য তাঁকে মাফ করে দেন অভিষেক।
সে দিনের চড়-কাণ্ডের নায়ক দেবাশিস এখন শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ কনিষ্ক পণ্ডার হাত ধরে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। শনিবার কাঁথির দইসাইতে জনসভা করতে এসেছিলেন অভিষেক। মঞ্চে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুকে তুলোধোনা করেন তিনি। তবে এ বার সাংবাদিকদের থেকে কিন্তু নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখলেন অতি সাবধানী তৃণমূল সাংসদ।
এ দিন সভাস্থলে সাংবাদমাধ্যমের ঢোকার সময় থেকেই ব্যাপক কড়াকড়ি ব্যবস্থার আয়োজন করা হয়েছিল। দীর্ঘ টানাপড়েনের পর সাংবাদিকদের প্রেস বক্সে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হলেও বার বার নিরাপত্তাকর্মীরা এসে তাঁদের পরিচয়পত্র দেখতে থাকেন। এর পর অভিষেক মঞ্চে আসার আগেই সমস্ত সাংবাদিককে প্রেস বক্স-এর ভিতর পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অভিষেকের সভা চলাকালীন সাংবাদিকদের ঘিরেও রাখা হয় চার দিক থেকে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মী জানান, উপর মহল থেকে কড়া নির্দেশ, সাংবাদিকদের বিশেষ ভাবে নজরে রাখতে হবে। উপযুক্ত প্রমাণপত্র ছাড়া কাউকেই ছাড়া যাবে না। যদিও
এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর মামুদ হোসেনের জবাব, ‘‘অভিষেক বড় মাপের নেতা। তাঁর সুরক্ষার জন্য পুলিশের কিছু বাধ্যবাধকতা আছে।’’ তবে এটা কাউকে আঘাত করার জন্য নয় বলেই দাবি তাঁর।