হাসপাতালে অবস্থান-বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
পুজোর মাসে প্রাপ্য বেতন ও বোনাস না পেয়ে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মীরা। বৃহস্পতিবার হাসপাতালের বাইরে প্রতীকী অবস্থান বিক্ষোভ করেন অস্থায়ী কর্মীরা। বকেয়া বেতন ও বোনাস না পেলে আজ, শুক্রবার থেকে অনশনে বসার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অস্থায়ী কর্মীরা।
অস্থায়ী কর্মীদের বিক্ষোভে অশনি সঙ্কেত দেখছে স্বাস্থ্য দফতর। কারণ, এই কর্মীদের উপর স্বাস্থ্য দফতরের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। এজেন্সি মারফত ওই কর্মীদের অস্থায়ী ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। আগে ‘এসআইএস’ নামে একটি বেসরকারি সংস্থার অধীনে ১৫৭ জন অস্থায়ী কর্মীদের হাসপাতালে নিয়োগ করা হয়েছিল। মূলত ওই অস্থায়ী কর্মীরা হাউস কিপিং, ওয়ার্ড বয় ও ওয়ার্ড গার্ল এবং নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ করেন।
গত মার্চে পূর্বতন সংস্থাটির সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। ১ এপ্রিল থেকে ‘অল সার্ভিস গ্লোব্যাল প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে নতুন একটি সংস্থা হাসপাতালের ওই তিনটি পরিষেবা দেওয়ার দায়িত্ব নেয়। পূর্বতন সংস্থার ১৫৭ জন কর্মীকেই বহাল করে নতুন সংস্থাটি। কিন্তু অভিযোগ, নতুন সংস্থাটি আগের সংস্থার তুলনায় কর্মীদের কম বেতন দিচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত নতুন সংস্থাটি কর্মীদের পে-স্লিপ দিচ্ছেন না। এ দিন হাসপাতালের বাইরে প্রতীকী অবস্থান-বিক্ষোভ করেন কর্মীরা। তবে হাসপাতালের কাজ তাঁরা বন্ধ করেননি। স্বাস্থ্য দফতরের এক সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন সংস্থাটির কম দরে টেন্ডার ধরেছে, সেই কারণে আগের সংস্থাটির হারে কর্মীদের পারিশ্রমিক ও বেতন দিতে পারছে না। ওই সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে এ দিন হাসপাতাল চত্বরে কথা বলতে চাওয়া হলে তাঁরা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলতে রাজি হননি। তবে বিকেলে সংস্থার এক প্রতিনিধিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান অস্থায়ী-কর্মীরা। তারপর কর্মীদের আংশিক বেতন দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। তবে বোনাস দেওয়া হয়নি।
হাসপাতালের সুপার মলয় আদক বলেন, “অস্থায়ী কর্মীদের নিয়োগকারী সংস্থাটি তাদের বেতন দেয়। এটি কোনও ভাবেই স্বাস্থ্য দফতরের এক্তিয়ারভুক্ত নয়। কী হয়েছে আমার জানা নেই। হাসপাতালের পরিষেবা বিঘ্নিত হয়নি।”