গ্রামে শিবিরে চিকিৎসকেরা। ঘাটালে। নিজস্ব চিত্র
বিয়েবাড়িতে ভোজ খেয়ে অসুস্থ হলেন অনেকে। অসুস্থদের মধ্যে শিশু ও বয়স্করাও রয়েছেন। শুক্রবার রাতে ঘাটাল থানার রঘুনাথপুরের ঘটনা।
ওই রাতে রঘুনাথপুরের বাসিন্দা সৌরভ রায়ের বৌভাতের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে খাবার পরেই অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে খবর। বমি-পায়খানার সঙ্গে শুরু হয় পেটের যন্ত্রণা। অসুস্থদের রাতেই ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েক জন ভর্তি হন নাড়াজোল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। শনিবার সকালে গ্রামে যান স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী ও চিকিৎসকেরা। শুরু হয় মেডিক্যাল শিবির। স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, শনিবার বিকাল পর্যন্ত সব মিলিয়ে অসুস্থের সংখ্যা শতাধিক। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, বিয়েবাড়ির খাবারের বিষক্রিয়া থেকেই সমস্যা হয়েছে। খাবারের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘাটাল থানার পক্ষ থেকেও বিষয়টি দেখা হচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী বলেন, “পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। গ্রামে মেডিক্যাল ক্যাম্প খোলা হয়েছে।”
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতের ওই বিয়েবাড়িতে কমবেশি পাঁচশো জন আমন্ত্রিত ছিলেন। সেখানে খাবার খেয়ে গভীর রাতে অনেকের সমস্যা শুরু হয়। রাতেই বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। ওই রাতেই অসুস্থদের কয়েকজনকে ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার সকালেও অনেকে ভর্তি হন। ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৪৬ জনের চিকিৎসা চলছে। নাড়াজোল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৬ জন ভর্তি রয়েছেন। শনিবার সকালে ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যান ঘাটালের মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস, ঘাটালের বিডিও সঞ্জীব দাস, মহকুমা পুলিশ অফিসার অগ্নিশ্বর চৌধুরী, ওসি দেবাংশু ভৌমিক-সহ পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকরা। ওই গ্রামে যান বীরসিংহ গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মীরা। আশা কর্মীরাও যান। অসুস্থদের অনেকে গ্রামীণ চিকিৎসকদের কাছেও যান।
ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার সুব্রত দে বলেন, “হাসপাতালে ৪৬ জনের মতো ভর্তি রয়েছেন। ওয়ার্ডে বাড়তি চিকিৎসক, নার্স দেওয়া হয়েছে। আক্রান্তেরা সুস্থ হয়ে উঠছেন।” ঘাটালের বিডিও সঞ্জীব দাস জানান, বিয়ে বাড়ির খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তার খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। খাবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।