—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রেলের জমিতে থাকা তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র কার্যালয় ভাঙল রেলf। শনিবার খড়্গপুর শহরের নিউ ট্রাফিক এলাকায় ওই তৃণমূল কার্যালয় ভাঙা হয় আরপিএফের উপস্থিতিতে। কার্যালয়টি পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আইএনটিটিইউসি-র জেলা সাধারণ সম্পাদক শৈলেন্দ্র সিংহকে গ্রেফতারও করে আরপিএফ। পরে ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয়।
খড়্গপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় রেলের জমিতে রয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়। তার মধ্যে কেন শুধু তাদের শ্রমিক সংগঠনের এই কার্যালয়টি ভেঙে দেওয়া হল, সেই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছে তৃণমূল। দলের শহর সভাপতি সূর্যপ্রকাশ রাও বলেন, “এই কার্যালয়ে আমাদের দলের শ্রমিকরা এসে বসেন। কেন স্থানীয় প্রশাসনকে না জানিয়ে রেল তা ভেঙে দিল তার জবাব দিতে হবে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে রেল সামলাতে পারবে? আমরা জোরালো আন্দোলনে নামব।”
দিন কয়েক আগে শ্লীলতাহানি ও খুনের চেষ্টার অভিযোগে নিউ ট্রাফিক এলাকার ওই রেল কলোনির বাসিন্দা এক রেলকর্মীক গ্রেফতার করে। ঘটনায় পৃথক তদন্ত করে আরপিএফও। সামনে আসে ওই রেলকর্মীর কোয়ার্টারের বাইরে থাকা এই কার্যালয়ের সঙ্গে বিরোধের ঘটনা। ধৃত রেলকর্মীর স্ত্রী দাবি করেন, গত অক্টোবরে ওই কার্যালয়ে আসা কয়েকজনের সঙ্গে বচসায় জড়িয়েছিলেন তাঁরা। তারপরেই শ্লীলতাহানি ও খুনের চেষ্টার মামলায় নাম জড়ায় রেলকর্মী স্বামী-স্ত্রীর। গ্রেফতার হন ভদ্রলোক।
ওই কার্যালয় পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আইএনটিটিইউসি নেতা শৈলেন্দ্রের অবশ্য দাবি, “আমাদের সঙ্গে ওই পরিবারের কোনও ঝামেলা নেই। তবে এই কার্যালয়ে আমাদের ‘মাতঙ্গিনী হাজরা বাহিনী’র এক মহিলা সদস্যের সঙ্গে ওই দম্পতির ঝামেলা হয়। পরে ওই মহিলা সদস্য ওঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। কিন্তু আমাদের মনে হচ্ছে রেল তার বদলা নিচ্ছে। নাহলে খড়্গপুর শহরে তো রেলের জমিতে বিজেপি-সহ সব রাজনৈতিক দলের কার্যালয় রয়েছে। ভাঙলে সব ভাঙা হোক।” খড়্গপুর আরপিএফের প্রধান সিনিয়র ডিভিশনাল সিকিউরিটি কমিশনার ওঙ্কার সিংহ বলেন, “রেলের জমিতে কোনও অবৈধ নির্মাণ থাকতে পারে না। ওই ট্রাফিক এলাকায় দুষ্কর্ম বাড়ছে বলে আমাদের কাছে খবর ছিল। তাই অভিযান চালিয়েছিলাম। তখন একটি বেআইনি নির্মাণ ভাঙা হয়েছে।”