—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে সমবায় সমিতির ভোটে অধিকাংশ আসনেই প্রার্থী দিতে পারল না বিজেপি। ‘অধিকারীদের গড়ে’ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল তৃণমূল। বস্তুত, কাঁথির সমবায় সমিতির ভোটের জন্য যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা চেয়েছে বিজেপি, সেখানে কয়েক কিলোমিটার দূরে আর এক সমবায়ে অধিকাংশ আসনে প্রার্থীই দিতে পারল না পদ্মশিবির। যা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল।
মহিষাদলের কালিকাকুন্ডু বক্সিচক সমবায় সমিতির নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল বুধবার। কিন্তু ৪২টি আসনের মধ্যে মাত্র ৩টিতে মনোনয়ন জমা দেন বিজেপির প্রতিনিধিরা। এর ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সমবায়টির দখল নিল তৃণমূল। শাসকদলের দাবি, বিজেপির ‘চরম সাংগঠনিক দুর্বলতা’ প্রমাণ করেছে এই ফল। বিজেপির দাবি, কী কারণে এমনটা হয়েছে তা তারা খোঁজ নিয়ে দেখবে।
তৃণমূলের দখলে থাকা লক্ষ্যা-২ পঞ্চায়েতের কালিকাকুন্ডু ও বক্সিচক গ্রামকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে কালিকাকুন্ডু বক্সিচক সমবায় সমিতি। ৪২টি আসনের সমবায়ে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১৪০০। মনোনয়ন জমার শেষ দিন ছিল বুধবার। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন আগামী শনিবার। নির্বাচনের দিন ঠিক হয়েছিল ২৪ ডিসেম্বর। কিন্তু মনোনয়ন জমার পর দেখা গেল সব ক’টি আসনে তৃণমূল প্রার্থী দিলেও বিজেপির প্রার্থী সংখ্যা মাত্র তিন জন। ফলত সমবায়ের বোর্ডটি তৃণমূলের দখলেই চলে গেল। তবে শনিবারের মধ্যে বিজেপির তিন প্রতিনিধি মনোনয়ন প্রত্যাহার না-করলে নির্ধারিত দিনে ভোটগ্রহণ হবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা ছবিলাল মাইতির কটাক্ষ, ‘‘বিজেপির সঙ্গে যে সাধারণ মানুষের কোনও যোগাযোগ নেই, তা আজকের ঘটনাতেই স্পষ্ট হয়ে গেল।’’ তিনি বলেন, ‘‘আগামী ১৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে চলা কাঁথি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানো হচ্ছে বিজেপির আবেদনের ভিত্তিতে। আর মহিষাদলের সমবায়ে কোনও প্রার্থীই দিতে পারল না বিজেপি। এর থেকে পরিষ্কার, বিজেপি কেবলমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভরসাতেই টিকে আছে। ভোটে লড়াই করার ক্ষমতা ওদের নেই।’’
পদ্মশিবিরের দাবি আবার ভিন্ন। তাঁরা স্থানীয় স্তরে কোনও গন্ডগোলের আঁচ পাচ্ছেন। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি আনন্দময় অধিকারী বলেন, ‘‘এটা সম্পূর্ণ ভাবে স্থানীয় নেতৃত্বের দেখার বিষয়। তবে ঠিক কোন কারণে এমন সমস্যা হল, তা খোঁজ নিয়ে দেখব।’’