—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ব্লক অফিস থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য সড়কের পাশে নয়ানজুলিতে বেআইনি ভাবে বহুতল পাকা বাড়ি তৈরির অভিযোগ উঠলো এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। যদিও বাড়ি মালিকের ভাইয়ের দাবি, নয়ানজুলি ছেড়ে বাকি জমিতে জেলা পরিষদের অনুমতি নিয়ে তাঁরা বাড়ি করছেন। কিন্তু এতে জলনিকাশি অবরুদ্ধ হওয়ায় মাঠের ফসল নষ্টের আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে বলে আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
পটাশপুরে খড়াইমোড়-ইটাবেড়িয়া রাজ্য সড়কের পাশে বাগমারি বাসস্টপের সামনে নয়ানজুলি পুরনো নয়ানজুলি রয়েছে। বাগমারি ও শ্রীরামপুর, জয়কৃষ্ণপুর-সহ একাধিক মৌজার কয়েক হাজার হেক্টর জমির জল নয়ানজুলি হয়ে প্রতাপদিঘী খালে পড়ে। এই নয়ানজুলি ভরাট করে একাধিক দোকান ও ঘরবাড়ি তৈরি হওয়ায় মাঠের জলনিকাশি বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ। বাগমারি বাসস্টপে নয়ানজুলিতে কালভার্টের গা ঘেঁষে বেআইনি বহুতল তৈরির ঘটনায় ক্ষুব্ধ কৃষকেরা। পটাশপুর-২ ব্লক প্রশাসনের কার্যালয় ও ব্লক ভূমি রাজস্ব দফতর থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে গত কয়েক বছর ধরে এই বহুতল নির্মাণের অভিযোগ উঠছে শাহজাহান সাহা নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
তৃণমূল পরিচালিত স্থানীয় শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং কর্মাধ্যক্ষদের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন চিহ্ন। স্থানীয় শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান পুরবী মাইতি বলেন, ‘‘এই ধরনের বাড়ি তৈরির বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। পঞ্চায়েতে কাগজপত্র দেখে বলতে হবে।’’ অভিযোগ, বাগমারিতে নয়ানজুলির দখল করে তৈরি বহুতলের মালিককে কোনও নোটিস ধরানো হয়নি ব্লক প্রশাসনের তরফে। যদিও বাড়ির মালিকের ভাই সূর্য সাহা-র দাবি, ‘‘নয়ানজুলি ছেড়ে রাজ্য সড়ক থেকে চল্লিশ ফুট বাদ রেখে বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। জেলা পরিষদ অনুমতি দিয়েছে।’’
এ দিকে, নয়ানজুলিতে বহুতল তৈরির ফলে জলনিকাশি বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় মাঠে ফসল নষ্টের আশঙ্কায় ভুগছেন কৃষকেরা। মাঠের জলনিকাশি স্বাভাবিক করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানালেন চাষিরা। এগরা মহকুমাশাসক মনজিৎ কুমার যাদব বলেন, ‘‘স্থানীয় প্রশাসনকে খোঁজ নিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।’’