উদ্ধার হওয়া মদ। —নিজস্ব চিত্র।
কোলাঘাটে জাতীয় সড়কের দু'ধারে গজিয়ে ওঠা অসংখ্য হোটেল, ধাবা রেস্তোঁরায় বেআইনি ভাবে মদ বিক্রির অভিযোগ নিয়ে খবর করেছিল আনন্দবাজার পত্রিকা। গত সোমবার সেই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর নড়েচড়ে বলে প্রশাসন। বুধবার ওই এলাকার হোটেল-রেস্তরাঁয় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান মদ উদ্ধার করল আবগারি দফতর। ১১ জন হোটেল, ধাবা ও রেস্তরাঁর মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কোলাঘাটের হলদিয়া মোড় থেকে শরৎ সেতু পর্যন্ত জাতীয় সড়কের দু'ধারে মোট ৪৬টি হোটেল ও রেস্তরাঁ রয়েছে। এমনিতে জাতীয় সড়কের ধারে নির্দিষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত মদ বিক্রি নিষিদ্ধ। কিন্তু এই এলাকাটি হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের আওতাভুক্ত বলে সেই নিয়ম এখানে শিথিল। তবে এই হোটেল-রেস্তরাঁগুলিতে মদ বিক্রির জন্য লাইসেন্স প্রয়োজন। সেটা ছাড়াই অধিকাংশ হোটেল মদ বিক্রি করছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
এই এলাকায় মাত্র ৫টি হোটেল ও রেস্তোরাঁর মদ বিক্রির লাইসেন্স রয়েছে বলে আবগারি দফতর সূত্রের খবর। বাকিগুলিতে লাইসেন্স ছাড়াই মদ পরিবেশন হত বলে অভিযোগ। রেস্তরাঁর মধ্যে দেদার মদ্যপানের কারণে সমস্যায় পড়তেন পরিবার নিয়ে আসা মানুষজন। সোমবার বিশ্বকর্মা পুজোর দিন সেখানে অভিযান চালিয়ে আবগারি দফতর ১৯০.৭৫ লিটার দেশি মদ, ৪৫.৯৫ লিটার বিলিতি মদ এবং ১৩৩.২৫ লিটার বিয়ার বাজেয়াপ্ত করে। লাইসেন্স ছাড়াই সেগুলি বিক্রি করা হচ্ছিল বলে খবর।
মদ বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি ১১ জন হোটেল, ও রেস্তরাঁর মালিকের বিরুদ্ধে আবগারি দফতর মামলা শুরু করেছে। দফতরের ভারপ্রাপ্ত অ্যাডিশনাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট আব্দুল কাদের মোল্লা বলেন, "কোলাঘাটে জাতীয় সড়কের ধারে একাধিক হোটেল, রেস্তরাঁ এবং ধাবায় অভিযান চালিয়ে প্রচুর বেআইনি মদ উদ্ধার করা হয়েছে। ১১ জন হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। বেআইনি মদ বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযান আরও
জোরদার হবে।"