—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
খড়্গপুর আইআইটিতে আবার র্যাগিংয়ের অভিযোগ। এই বিষয়ে আইআইটি কর্তৃপক্ষ খড়্গপুর টাউন থানায় লিখিত অভিযোগ জানাযন ৮ নভেম্বর। তবে অভিযোগপত্রে কোনও পড়ুয়ার নাম নেই। তেমনই নেই অভিযোগকারী কোনও পড়ুয়ার নামও। অভিযোগ পাওয়ার পরেই খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। পশ্চিমবঙ্গ র্যাগিং প্রতিরোধী আইনেও মামলা রুজু করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে আইআইটি কর্তৃপক্ষের কাছে একটি মেল পাঠিয়ে জানানো হয়, র্যাগিং প্রতিরোধী (অ্যান্টি র্যাগিং) পোর্টালে আইআইটির কোনও পড়ুয়া র্যাগিংয়ের বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আইআইটি কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করে ইউজিসি। ইউজিসির মেল পাওয়ার পরেই আইআইটি কর্তৃপক্ষ খড়্গপুর টাউন থানায় একটি মামলা রুজু করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্রের খবর, তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়ারা দ্বিতীয় বর্ষের তৃতীয় সেমেস্টারের এক পড়ুয়াকে র্যাগিং করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সারা রাত ধরে ওই পড়ুয়াকে নাচ এবং খেলা করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “আইআইটি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে একটি অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” আইআইটির কোন ছাত্রাবাসে এই ঘটনা ঘটেছে, তার খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার আইআইটি কর্তৃপক্ষ একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, ৮ নভেম্বর ইউজিসির অ্যান্টি র্যাগিং পোর্টালে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। ইউজিসি থেকে পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খড়্গপুর টাউন থানায় এফআইআর করা হয়েছে। অভিযোগটি বেনামি ছিল, পড়ুয়াদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। এমনকি কোন ছাত্রাবাসের ঘটনা, তা-ও জানা যায়নি। সেই সব তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা চলছে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটতে পারে, তার জন্য আবাসনের হলগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এ ছাড়াও, ‘অভিযোগের জন্য নির্দেশিকা এবং তাদের প্রতিকারের ব্যবস্থা’ শীর্ষক একটি বিস্তৃত নথি প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষার্থীর কাছে পাঠানো হয়েছে, যাতে তারা র্যাগিংয়ের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে সচেতন হন।