ঘাটালে ভেঙে পড়ল বাড়ি। নিজস্ব চিত্র।
নদীগর্ভে তলিয়ে গেল দোতলা দোকানবাড়ি। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের মনসুকা চড়কতলা এলাকায়। এই দুর্ঘটনার সময় ওই বাড়িতে কেউ ছিলেন না। তাই প্রাণহানি এড়ানো গিয়েছে।
বুধবার এবং বৃহস্পতিবারের বৃষ্টিতে ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ার জেরে ঝুমি এবং শিলাবতী নদী ছাপিয়ে গিয়েছে। শুক্রবার সকালে ঝুমি নদীর জলই ঢুকে পড়ে দোকান লাগোয়া রাস্তায়। সেই জলের তোড়েই দোতলা বাড়িটি ভেঙে পড়ে।
ওই বাড়ির মালিকের নাম রতন মণ্ডল। তিনি জানিয়েছেন, ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি দোকান ছিল। যদিও সেগুলির ক্ষতি হয়নি। কেবল এই দোকানবাড়িটিই ভেঙে গিয়েছে। নদী প্লাবিত হয়ে জল ঢুকেছে ঘাটাল থানাতেও। সে জন্য ইতিমধ্যেই ঘাটাল থানা সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে একটি ভাড়াবাড়িতে।
ঘাটাল পুরসভার গম্ভীরনগর এলাকায় স্নান করতে নেমে তলিয়ে গিয়েছে ছ’বছরের এক বালক। তাঁর নাম সৌম্যদীপ চালক। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। অপর দিকে ডেবরা থানার আদলিপুর গ্রামে দেওয়াল চাপা পড়ে বাসুদেব মান্ডি (৩২) বৃহস্পতিবার মারা যান। এই নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে দুর্যোগ সংক্রান্ত কারণে মোট ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। হুগলি জেলার গোঘাটেও বন্যার জেরে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে কমলা দাস (১০২) নামে এক বৃদ্ধার। শিবু দাস (১৭) নামের এক কিশোরও বন্যার জলে তলিয়ে গিয়েছে।