জটের চোটে নিত্য কাহিল

এক যুগেরও বেশি সময় হল পুরসভা হয়েছে এই শহর। কিন্তু নগরায়ণের ছাপ নেই। শহর বাড়ছে অপরিকল্পিতভাবে। পাঁশকুড়া স্টেশন বাজার এলাকায় যানজট নিত্য সমস্যা। আজ দ্বিতীয় কিস্তি।এক যুগেরও বেশি সময় হল পুরসভা হয়েছে এই শহর। কিন্তু নগরায়ণের ছাপ নেই। শহর বাড়ছে অপরিকল্পিতভাবে। পাঁশকুড়া স্টেশন বাজার এলাকায় যানজট নিত্য সমস্যা। আজ দ্বিতীয় কিস্তি।

Advertisement

বরুণ দে

পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৭ ০১:৪৫
Share:

ঘিঞ্জি: যানজটের এই ছবি চেনা স্থানীয়দের। নিজস্ব চিত্র

দিন কয়েক আগের ঘটনা। সরু রাস্তায় অটোকে পাশ কাটাতে গিয়ে আটকে পড়েছিল লরি। আর পিছনে সারি দিয়ে আরও অনেক চার চাকা। প্রায় মিনিট পনেরো পর সেই জট কাটে। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন পথচলতি মানুষ। পাঁশকুড়ার এই যানজট অবশ্য এলাকার বাসিন্দাদের কাছে খুব চেনা। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয়নি পুরসভা।

Advertisement

সমস্যার কথা মানছে পুরসভা। পাঁশকুড়ার পুরপ্রধান জাকিউর রহমান খানের স্বীকারোক্তি, “বাজার এলাকায় যানজট বড় সমস্যা। সমস্যার সমাধান জরুরি। এ নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে!” পুরসভার এক কর্তা মানছেন, “সমস্যা এড়াতে গেলে রাস্তার সম্প্রসারণ জরুরি। এ জন্য জবরদখল সরাতে হবে। এখনই এ ব্যাপারে না ভাবলে সমস্যা বাড়বে।’’

শিয়ালদহের কোলে মার্কেটের পরই রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম সব্জি বাজার পাঁশকুড়া রেলস্টেশন সংলগ্ন এই বাজার। আশির দশক থেকে পাঁশকুড়া সব্জি বাজারের রমরমা শুরু হয়। পাঁশকুড়া ছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, দাসপুর, চন্দ্রকোনা, ডেবরা, খড়্গপুর গ্রামীণ এলাকার কৃষকদের সব্জির বেচাকেনার অন্যতম গন্তব্য এই বাজার। পাইকারি বেচাকেনার জন্য প্রায় চারশো আড়তদার রয়েছেন। স্টেশনের পাশে তমলুকগামী রাস্তাটি সরু। এক দিকে সব্জির লরি, অন্য দিকে বাস-অটো-টোটো যে যেমন পারে, দাঁড়িয়ে থাকে রাস্তা জুড়ে। তাই কেন, এই বাজারে সব্জির টানে হাজির গরু, মোষ। তারাও রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে যানজট পাকিয়ে তোলে।

Advertisement

হাওড়া থেকে মুম্বইগামী ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে পুরাতন বাজার এবং খড়্গপুরগামী রেলপথে পাঁশকুড়া স্টেশন সংলগ্ন বাজারকে কেন্দ্র করে ঘন জনবসতি গড়ে উঠেছিল আগেই। দিনে দিনে সেই বসতি বেড়েছে। বিশেষ করে এলাকা পুরসভায় উন্নীত হওয়ার পরে জনবসতি দ্রুত হারে বাড়তে শুরু করে। তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে যানজট।

পাঁশকুড়া বাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক ভীম সেতুয়া মানছেন, “ব্যবসায়ীরাও সমস্যার সমাধান চান। পুরসভা ভাবনাচিন্তা করুক। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement