—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
এক জন চিকিৎসক একই সময়ে দু’টি নার্সিংহোমে অস্ত্রোপচার করেছেন! সেই দুই নার্সিংহোমের দূরত্ব আবার ৭০ কিলোমিটার! তার বিল মেটানো হয়েছে সরকারের 'স্বাস্থ্য সাথী' প্রকল্প থেকে।
কোন ভোজবাজিতে এটা সম্ভব তার ব্যাখ্যা চেয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক এবং নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কাছে গত ১৪ অগস্ট চিঠি পাঠিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
পূর্ব মেদিনীপুর স্বাস্থ্য জেলা দফতর ও জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, সম্প্রতি এক চিকিৎসক তমলুকের একটি নার্সিংহোমে এক রোগীর অস্ত্রোপচার করেছেন। একই দিনে এবং একই সময়ে তিনি কলকাতার একটি নার্সিংহোমে অন্য এক রোগীর অস্ত্রোপচার করেছেন বলে স্বাস্থ্য সাথীর কাগজে তথ্য নথিভুক্ত করা হয়েছে। দু’জন রোগীর অস্ত্রোপচারের টাকা মেটানো হয়েছে ‘স্বাস্থ্য সাথী’ প্রকল্প থেকে। বিষয়টি নজরে পড়েছে স্বাস্থ্য কর্তাদের। একই সময় একই চিকিৎসক তমলুক ও কলকাতায় কী ভাবে অস্ত্রোপচার করতে পারেন, সেই ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠান তাঁরা।
ওই চিকিৎসক জানান, তিনি ওই দিন শুধু কলকাতার নার্সিংহোমেই অস্ত্রোপচার করেছেন। তমলুকের নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ বলছেন, এটা তাঁদের ভুল। স্বাস্থ্য সাথী থেকে টাকা নেওয়ার সময়েও কেন ভুল সংশোধন করা হল না? সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকই বা এতদিন চুপ করে ছিলেন কেন? এর যথাযথ উত্তর মেলেনি।
জেলার এক স্বাস্থ্য কর্তা বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যসাথীর পোর্টাল থেকে সরকারি, বেসরকারি মিলিয়ে ৯৩ জন চিকিৎসকের কাছে এমন ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।’’ ‘অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন’-এর তাম্রলিপ্ত শাখার সম্পাদক কল্যাণময় বসুর দাবি, , ‘‘এমন ঘটনা জানা নেই। সংগঠনে আলোচনার পর মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলব।’’ বিজেপির জেলা (তমলুক) সহ-সভাপতি আনন্দময় অধিকারীর খোঁচা, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিজে স্বাস্থ্য দফতরের মাথায়। কিন্তু উনি কোনওভাবেই এই দুর্নীতির মাথাদের শাস্তি দেবেন না।’’ এ ব্যাপারে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি বলেন,"বিষয়টা শুনেছি। স্বাস্থ্য দফতর তদন্ত শুরু করেছে।"