চুলের বাহারে জেসমিন বা ইউনিকর্ন

চুল তার কবেকার অন্ধকার...সে দিন আর নেই। এ বার পুজোয় মাথায় শিং গজানোর হিড়িক। তবে তা নিজের চুল দিয়ে। মাথার উপর চুল তুলে উঁচু করে বেণী বাঁধছে নতুন প্রজন্ম, সঙ্গে মিশিয়ে নেওয়া মনের মতো রং।

Advertisement

আরিফ ইকবাল খান

হলদিয়া শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৬ ০০:২৭
Share:

পার্লারে স্পা করতে ব্যস্ত এক তরুণী। নিজস্ব চিত্র।

চুল তার কবেকার অন্ধকার...

Advertisement

সে দিন আর নেই। এ বার পুজোয় মাথায় শিং গজানোর হিড়িক। তবে তা নিজের চুল দিয়ে। মাথার উপর চুল তুলে উঁচু করে বেণী বাঁধছে নতুন প্রজন্ম, সঙ্গে মিশিয়ে নেওয়া মনের মতো রং। স্টাইলের নাম ‘ইউনিকর্ন’। অতটা সাহসী হতে না পারলে, হাতের কাছে লিটল মাস্টার তো আছেনই। সম্প্রতি তিনি বেঁধেছেন ঝুঁটি। তাই পুজোয় অনেকেই ‘গাওস্কর ঝুঁটি’ বাঁধতে চাইছেন।

মুঠোফোনে বন্দি দুনিয়া, তাই তাবড় ‘ফ্যাশনিস্তা’দের হাজার কেতা শিখে নেওয়া টপাটপ। না-পারলে ফোন নিয়েই ছুট পার্লারে। পুজোর আগে তাই দম ফেলার ফুরসত নেই বিউটিশিয়ানদের। সেখানে কোনও ফারাক নেই কলকাতা বা হলদিয়ায়। নতুন জামা, জুতো তো কেনার পালা শেষ। এখন নিজেকে ঝকঝকে করে তুলতে ব্যস্ত বাঙালি। সেখানে কিন্তু বয়স কোনও বাধা নয়। বাধা নয় পেশাও। নিজের নিজের মতো করে সকলেই সাজতে চাইছেন।

Advertisement

ফেসিয়াল, বডি পলিশিং, হেয়ার রি-বন্ডিং, কেমিকাল পিল ট্রিটমেন্ট, হেয়ার স্পাইক-এর চাহিদা তুঙ্গে। হলদিয়া টাউনশিপের অভিজাত এলাকায় স্যালোঁ চালান রবি মান্না। তাঁর কথায়, ‘‘রাত দিন কাজ চলছে। তরুণ তরুণীরা তো বটেই আসছেন নানা বয়সের মানুষ। এমন অনেক ক্রেতা আছেন, যাঁরা আগে বড় জোর ফেসিয়াল করতেন। তাঁরাই এখন নানা বিষয়ে আগ্রহী।’’ বিশেষ করে স্টিম বাথ, বডি পলিশিং— এ জন্য ৮০০ থেকে ৩০০০টাকা খরচ করতও পিছপা নন।

রবিই জানালেন, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ইউনিকর্ন-এর ছবি বা ভিডিও এনে আব্দার করছেন ওইরকম করে চুল বেঁধে দেওয়ার। সে আব্দার রাখাও হচ্ছে। সঙ্গে আছে হাইলাইট, স্ট্রেটনিং। হলদিয়ার এক স্যালোঁতে দেখা হল শিক্ষিকা লগ্নজিতা রায়ের সঙ্গে। বললেন, ‘‘কোঁকড়া চুলটা সোজা করতে চাই। সারা বছর এ সব নিয়ে ভাবি না। পুজোর সময় একটু ফুরসত।’’ তরুণী সহেলি পণ্ডা জানালেন, তিনি চুলের জেল্লা বাড়াতে স্পা করতে এসেছেন।

শহরেরই অন্য একটি স্যালোঁর তরফে সঞ্জয় আগরওয়াল জানালেন, মানুষ এখন সৌন্দর্য নিয়ে অনেক সচেতন। শুধু সাজগোজ নয়, তাঁরা চাইছেন ত্বক বা চুলের স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চমক। তবে ব্যতিক্রম আছে। হুজুগও কম নয়। সঞ্জয় বলেন, ‘‘আবার এমন অনেকে আসছেন যাঁরা জানেনই না, ‘স্পা’ কী জিনিস!’’

চুল কাটাতেও নতুনত্ব চাইছেন মানুষ। গ্রাজুয়েশান কাট, ফেদার কাট বেশি কদর পাচ্ছে কলেজ ছাত্রীদের মধ্যে। হলদিয়ার একটি শপিং মলে বিউটি কেয়ার সেন্টার চালান প্রশান্ত প্রামাণিক এবং কৃষ্ণা প্রামাণিক। তাঁরা জানালেন, চুলের কাটে রং মেশানোও এ বার ‘ইন’। স্পাইকও করছেন অনেকে। সেখানে জামা, জুতোর সঙ্গে মিলিয়ে আবার কালার করছেন।

বাচ্চাদের জন্য রয়েছে ‘জেসমিন ব্রেইড’। আলাদিনের প্রিন্সেস জেসমিনের চুলের মতো করে সাজানোর বিশেষ চাহিদা আছে বলে এক মহিলা বিউটিশিয়ান জানান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement