—নিজস্ব চিত্র।
হদিস মেলেনি শাসকদলের পাঁচ পঞ্চায়েত সদস্যের। অভিযোগ, পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তাঁদের নিয়ে ‘গা-ঢাকা’ দিয়েছেন! এক তৃতীয়াংশ সদস্য উপস্থিত না থাকায় বৃহস্পতিবার হল না পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল ব্লকের অজবনগর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বোর্ড হয়নি। ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, ‘‘তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জন্যই বন্ধ হল বোর্ড গঠন।’’ এই অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে শাসকদল।
অজবনগর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ১৬টি আসন। তার মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ১১টি আসন। বিজেপি পেয়েছে পাঁচটি। তৃণমূল সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত সদস্য রিনা ধাড়াকে প্রধান এবং গোপাল মাইতিকে উপপ্রধান করার নির্দেশ দিয়েছিলেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবারের বোর্ড গঠনেও সেই মতো প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু দেখা যায়, ভোটাভুটির সময় গরহাজির পাঁচ পঞ্চায়েত সদস্য। এর জেরেই ভেস্তে যায় পঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপপ্রধান নির্বাচন।
দলীয় সূত্রে দাবি, পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান রাজকুমার দাস চেয়েছিলেন উপপ্রধান হতে। কিন্তু দলীয় নেতৃত্ব তাতে রাজি না হওয়ায় তিনি বেঁকে বসেছেন। দলীয় নির্দেশ অমান্য করে তিনিই পাঁচ সদস্যকে নিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ। তৃণমূল স্থানীয় নেতা সঞ্জয় দাস বৈরাগী বলেন, ‘‘সব ঠিক ছিল। গতকাল (বুধবার) রাতেও সকলের সঙ্গেই কথা হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে ছ’জন নেই। দলের নির্দেশ অমান্য করে রাজকুমার দাস পাঁচ জনকে নিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছে। বিষয়টি দলের উচ্চ নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। দল যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে।’’