তৃণমূল প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা করলেন কাঁথি মহকুমা শাসকের দফতরে। নিজস্ব চিত্র
পুর নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা ঘিরে ব্যাপক আশান্তিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কাঁথির রাজনৈতিক পরিবেশ। আচমকাই ঘটনার পট পরিবর্তন হয় সোমবার। সেদিনই আলোচনার টেবিলে বসেন কাঁথির তৃণমূলের দুই যুযুধান শিবির। দীর্ঘ আলোচনায় মিটে যায় সমস্যা। এরপরেই মঙ্গলবারে ঘটল মধুরেণ সমাপয়েৎ। তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা মঙ্গলবার অনুযায়ী ১৯ জনই তাঁদের মনোনয়ন জমা করলেন কাঁথি মহকুমা শাসকের দফতরে। রীতিমতো ঢাকঢোল বাজিয়ে অন্তর্বর্তী বিভেদ মুছে ফেলার বার্তা দিলেন তাঁরা।
সোমবার দেশপ্রাণ ব্লকের ভাইস চেয়ারম্যান তরুণ জানার সঙ্গে বৈঠকের পর অখিল গিরি জানান, “আমার বড়দি প্রয়াত হয়েছেন, তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতেই এসেছিলেন তরুণ জানা। তরুণকে কাছে পেয়ে ভোটে ভাল ফল হবে।”
তা হলে গত দু’দিন ধরে ক্ষোভ কেন? এই প্রসঙ্গে অখিলের জবাব, “ডানপন্থী দলে এমনটা হয়ে থাকে প্রাথমিক ভাবে”। অখিলের বার্তা, “আমরা বিভিন্ন ওয়ার্ডের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেই ক্ষোভ মিটিয়ে নেব। আর সামনের নির্বাচনে একজোট হয়ে লড়াই করব।” আর তরুণ জানার জবাব, “রাজনৈতিক দলের কর্মী আমরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা লড়াই করছি।”
তরুণ বলেন, “অখিল গিরি নির্বাচন কমিটির আহ্বায়ক। তাই তাঁকে সঙ্গে নিয়েই আমরা লড়াই চালাব।” এর পরেই মঙ্গলবার তৃণমূলের প্রার্থীরা সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করে দলে দলে মহকুমা শাসকের দফতরে হাজির হন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর সবাই একজোট হয়ে আঙুল দিয়ে ভিক্ট্রি চিহ্ন দেখান।