Mamata Banerjee

মমতার সফরের আগে হাতিতে সতর্ক বন দফতর

জেলার বিভিন্ন জঙ্গলে এখন হামেশাই আগুন লাগছে। বন দফতরের সঙ্গে দমকলকেও ঘটনাস্থলে ছুটতে হচ্ছে আগুন নেভাতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গড়বেতা শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:৪৩
Share:

সম্প্রতি গোয়ালতোড়ের জঙ্গলে হাতির দল। নিজস্ব চিত্র

কয়েকবছর আগে জেলায় এসে প্রশাসনিক বৈঠকে হাতি নিয়ে বনকর্তাদের ধমক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফের জেলায় আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই মুহূর্তে হাতির দলও রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায়। মুখ্যমন্ত্রীর সভার আগে সেই হাতি যাতে বিড়ম্বনায় না ফেলে, সে জন্য আগেভাগে সতর্ক বনদফতর। কয়েকদিন ধরেই বনকর্তারা নিয়মিত হাতির গতিবিধির উপর নজরদারি শুরু করেছেন। বন দফতরের রেঞ্জ ও বিট অফিসগুলিও সমন্বয় রেখে হাতির খবরাখবর আদানপ্রদান করছে।

Advertisement

জেলার বিভিন্ন জঙ্গলে এখন হামেশাই আগুন লাগছে। বন দফতরের সঙ্গে দমকলকেও ঘটনাস্থলে ছুটতে হচ্ছে আগুন নেভাতে। জঙ্গলে আগুন লাগানোর প্রবণতা আটকাতে চলছে সচেতনতার প্রচারও। এরই মধ্যে হাতির দলের উপস্থিতিতে চাপে বন দফতর। দফতরের মেদিনীপুর বিভাগের আওতায় রয়েছে ৬০টির মতো হাতি। আর রূপনারায়ণ বিভাগে রয়েছে ১৫-১৬ টি হাতি। দু’ ক্ষেত্রেই বিভাগীয় বনাধিকারিকেরা নানা মাধ্যমে হাতির অবস্থান জানিয়ে সতর্কতা জারি করছেন নিয়মিত। রেঞ্জ ও বিট অফিস থেকেও হাতির দলের উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে।

শনিবার দলছুট একটি হাতি হুগলির আরামবাগে ঢুকে পড়ায় হুলস্থূল পড়ে ভরা বাজারে। সেই হাতিকে বাগে আনতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বনকর্তারাও গিয়েছিলেন পাশের জেলায়। দলছুট হাতিটি যাতে পশ্চিম মেদিনীপুরে ঢুকতে না পারে, সে দিকে কড়া নজর ছিল বনকর্তাদের। গড়বেতা ও শালবনি এলাকায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর মাঝেমধ্যেই চলে আসে হাতির দল। যানবাহন চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রী পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সফর চলাকালীন জাতীয় বা রাজ্য সড়কের উপর যাতে হাতির দল চলে না আসে, সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে বলে এক বনাধিকারিক জানিয়েছেন।

Advertisement

গোয়ালতোড়ের টেসাবাঁধ এলাকায় ১৪-১৫ টি হাতি কয়েকদিন আগেই ঘাঁটি গেড়েছে। তারা কখনও লালগড়ের দিকে যাচ্ছে, কখনও গোয়ালতোড়ের দিকে আসছে। তাদের গতিবিধির উপর সর্বদা নজর রাখা হচ্ছে বলে গোয়ালতোড়ের এক রেঞ্জ অফিসার জানিয়েছেন। দলছুট হাতি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে গড়বেতা, চাঁদরা, কামরাঙ্গি প্রভৃতি এলাকায়। তাদের নিয়ে যাতে বিড়ম্বনা না বাড়ে সে দিকে খেয়াল রাখছে বন দফতর।

এই সময় গড়বেতার তিনটি ব্লকে জলদি জাতের আলু চাষের পরিচর্যা চলছে জোরকদমে। অনেক জায়গায় খেত থেকে আলু তোলার কাজ চলছে। আলুই এই সব এলাকার প্রধান অর্থকরী ফসল। হাতির হানায় সেই আলুর ক্ষতি হলে ক্ষোভ বাড়বে চাষিদের। মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের আগে তাই সে দিকেও খেয়াল রাখছে বনদফতর।

জেলার এক বনকর্তা মানছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের সময় হাতির সমস্যা যাতে না বাড়ে তা আগে থেকেই দেখা হচ্ছে।’’ দফতরের মেদিনীপুর ও রূপনারায়ণ ডিভিশনের আধিকারিকেরা জুড়ছেন, ‘‘হাতি নিয়ে সতর্ক করা হচ্ছে মানুষকে। আমরাও নজর রাখছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement