কেশপুরে মৃত অধ্যাপকের স্ত্রীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
বিয়ের ১৫ দিনের মাথায় এক অধ্যাপকের মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে কেশপুর থানার আন্ধিচক এলাকায়। ওই মৃত্যুর ঘটনায় অধ্যাপকের মা এর অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতের স্ত্রী এবং শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ধৃতদের বুধবার তোলা হয় মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে। বিচারক তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সরকার পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ নাজিম হাবিব। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির খুনের ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, নাড়াজোল রাজ কলেজের এডুকেশন বিভাগের অধ্যাপক প্রতীম মাইতির (৩১) গত জানুয়ারি মাসে বিয়ে হয়। পাত্রী ডেবরার শালিকুঠি গ্রামের এক ইঞ্জিনিয়ার। গত সোমবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রতীমকে কেশপুর থানার ঘোষপুর এর আন্ধিচক গ্রাম থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে ‘মৃত’ ঘোষণা করেন।
মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সে সময় দু’পক্ষই হাজির ছিলেন হাসপাতাল চত্বরে। মঙ্গলবার রাতে প্রতীমের মা কেশপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে স্ত্রী এবং স্ত্রীয়ের বাবাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
পুলিশকে প্রতীমের পরিবার জানিয়েছে, দেখাশুনো করেই বিয়ে হয়েছিল। কী কারণে প্রতীমকে মরতে হল তা নিয়ে ধন্দে পরিবার। ঘটনার তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তির দাবি জানিয়েছে তারা। মৃতের শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের দাবি, বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর কোনও সমস্যা হয়নি। মৃতের কোনও অসুস্থতা ছিল কি না তা তাঁদের জানা নেই।