কলকাতায় মৃত্যু হল ফতেমার

এ দিন তাঁর মৃত্যুর খবর আসতেই উত্তেজনার সৃষ্টি হয় সুন্দরপুরে। রাতভর পুলিশি টহল চলছে এলাকায়। স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন কাজি হাসেম আলি। ঘটনার দিন তিনি মুম্বইয়ে ছিলেন। ফিরেছেন গত শনিবার। সেই থেকে বড় ছেলে ফরিদকে জড়িয়ে কেবল কেঁদেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৭ ০১:৫২
Share:

প্রতীকী ছবি।

ছ’দিন লড়াইয়ের পর হার মানলেন ফতেমা বিবি (৪৮)। গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘাটালের সুন্দরপুরে পারিবারিক বিবাদের জেরে তাঁর ঘরে তালা ঝুলিয়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল দেওর কাজি ইসমাইল।

Advertisement

সে দিন ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়ে সে দিনই মৃত্যু হয়েছিল ফতেমার দুই ছেলেমেয়ের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ভর্তি করা হয়েছিল ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার এসএসকেএমে। বুধবার ভোরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ফতেমা বিবির শরীরের ৯০ ভাগই পুড়ে গিয়েছিল।

এ দিন তাঁর মৃত্যুর খবর আসতেই উত্তেজনার সৃষ্টি হয় সুন্দরপুরে। রাতভর পুলিশি টহল চলছে এলাকায়। স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন কাজি হাসেম আলি। ঘটনার দিন তিনি মুম্বইয়ে ছিলেন। ফিরেছেন গত শনিবার। সেই থেকে বড় ছেলে ফরিদকে জড়িয়ে কেবল কেঁদেছেন। এ দিন তাঁকে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালে রয়েছেন ফরিদও। তাঁর মানসিক এবং শারীরিক অবস্থাও ভাল নয়। দুই ভাইবোন আর মাকে হারিয়ে বিহ্বল ফরিদ কোনও কথাই বলতে পারছেন না।

Advertisement

এখন পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত ইসমাইলকে ধরতে পারেনি পুলিশ। তা নিয়ে

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement