ভগবানপুর-২ ব্লকে কর্মতীর্থ প্রকল্পে তৈরি দোকানঘর। —নিজস্ব চিত্র।
কাঁথি মহকুমার ভগবানপুর ২ নম্বর ব্লকের বাসুদেববেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ পাথরবেড়িয়া ডাকবাংলো। এখানেই তৈরি হয়েছে কর্মতীর্থ প্রকল্পের মার্কেট কমপ্লেক্স। কমপ্লেক্সে রয়েছে ১৫টি স্টল। যা তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। তবে স্টল তৈরি হয়ে গেলেও সেগুলি এখনও বিলি করা সম্ভব হয়নি। নিয়ম মতে যে পঞ্চায়েতে মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি হয়েছে, সেই পঞ্চায়েতের স্বসহায়ক দলের প্রধানেরই মার্কেট কমপ্লেক্সের দেখভালের দায়িত্ব পাওয়ার কথা।
ভগবানপুর ২ ব্লক সূত্রে জানা গিয়েছে, মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি হলেও এখনও সেই দোকানগুলি ভাড়া দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ ভাড়া অনেক বেশি হওয়ায় অনেকেই দোকান নিতে রাজি হচ্ছেন না। প্রতি বর্গফুটে ১৫ টাকা হিসাবে একেকটি দোকানের ভাড়া নির্ধারণ হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ১২০ বর্গফুটের একটি দোকানঘর ভাড়া নিলে মাসে প্রায় ১৮০০ টাকা ভাড়া গুনতে হবে। যা অনেকের পক্ষেই সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে ব্লক প্রশাসন আলোচনার মাধ্যমে প্রতি বর্গফুটের ভাড়া ১৫ টাকা থেকে কমিয়ে ৫ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে ক্ষেত্রে ১২০ বর্গফুটের একটি দোকানের জন্য মাসে ৬০০ টাকা ভাড়া হবে। যা একজন বেকার যুবক বা যুবতীর পক্ষে ব্যবসা চালিয়ে দেওয়া সম্ভব বলে মনে করছে প্রশাসন। এই প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ অশ্বিনী কুমার খাটুয়া বলেন, ‘‘প্রকল্পের কাজ শেষ। শীঘ্রই ঘরগুলি লটারির মাধ্যমে বিলি করা হবে।’’
তবে রামনগর-১ ব্লকে কর্মতীর্থ প্রকল্পের কাজ ভাস চলছে বলে ব্লক সূত্রে জানা গিয়েছে। এখানে দু’ধরনের কর্মতীর্থ প্রকল্পের কাজ হয়েছে। একটি প্রকল্পে শিল্প দফতরের, আর একটি স্ব-সহায়ক দলের কর্মীদের জন্য হয়েছে। স্ব-সহায়ক দলের কর্মীদের জন্য তৈরি হওয়া মার্কেট কমপ্লেক্সটির কাজ বহুদিন আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। লটারির মাধ্যমে সেখানে দোকান বিলির কাজও সম্পূর্ণ। স্বসহায়ক দলের কর্মীরা সেখানে ব্যবসা করছেন। তবে শিল্প দফতরের মার্কেট কমপ্লেক্সের কাজ শেষ হলেও সেখানে দোকান বিলির কাজ শুরু হয়নি।
রামনগর-১ ব্লকের কর্মতীর্থ প্রকল্পের কাজ হয়েছে দিঘায়। রাজ্যের প্রধান সৈকত শহর হওয়ায় এখানে দিন দিন পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ছে। সুযোগ বাড়ছে ব্যবসারও। এখানে ঝিনুক, শামুক এবং কিছু ক্ষেত্রে কাঠের কাজের ভাল চল রয়েছে। যাঁরা এখানে বেড়াতে আসেন তাঁরা বাড়ি সাজানোর জন্য এই সব জিনিসপত্র কিনে নিয়ে যান। ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে তৈরি হওয়া কর্মতীর্থ প্রকল্পের মাধ্যমে বেকার যুবক যুবতীদের এই সব জিনিসপত্রের ব্যবসায় উৎসাহ দিচ্ছে প্রশাসন।
রামনগর-১ এর বিডিও অনুপম বাগ বলেন, ‘‘কর্মতীর্থ প্রকল্পের মাধ্যমে বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন। স্বসহায়ক দলের কর্মীরা ভাল কাজ করছেন। ভবিষ্যতে আরও অনেকে এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হবেন।’’