বিপজ্জনক: নিজস্ব চিত্র
হঠাৎই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের ‘ফল্স সিলিং’য়ের একাংশ। সোমবার দুপুরে হাসপাতালের পাঁচতলায় দুর্ঘটনা ঘটে। তবে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন হাসপাতালের কয়েকজন কর্মী।
গত বছর অগস্টে চালু হওয়া সুপার স্পেশ্যালিটি ভবনে রয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ড। পাঁচ তলায় পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন থিয়েটর-সহ ‘ওটি কমপ্লেক্স’ ও চিকিৎসকদের বিশ্রামকক্ষ রয়েছে।
এ দিন দুপুরে পাঁচতলায় লিফ্ট থকে অপারেশন থিয়েটর যাওয়ার পথে ফল্স সিলিংয়ের একাংশ ভেঙে পড়ে। সে সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থার কয়েকজন কর্মীরা ওই চত্বরটি পরিষ্কার করছিলেন। কোনও ক্রমে প্রাণে বাঁচেন তাঁরা। ওই বারান্দায় বসেছিলেন কয়েকজন রোগীর পরিজনও। তবে তাঁরাও জখম হননি। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসেন হাসপাতালের সুপার মলয় আদক।
ফল্স সিলিং ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের তার ও সিসি ক্যামেরা ঝুলে পড়ে। এমনকী ভারী বৃষ্টিতে ছাদ থেকে চুঁইয়ে পড়া জলে ভেসে গিয়েছে রোগীদের রাখার ঘর, চিকিৎসকদের বিশ্রামকক্ষ। ওই অবস্থাতেই কয়েকটি অস্ত্রোপচারও হয় এ দিন। কিন্তু মাত্র এক বছরের মধ্যে কী ভাবে ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ে, সে প্রশ্ন উঠেছে স্বাস্থ্য দফতরের অন্দরে।
ওয়েস্টবেঙ্গল মেডিক্যাল সার্ভিস কর্পোরেশনের তদারকিতে একটি বড় ঠিকাদারি সংস্থাকে দিয়ে সুপার স্পেশ্যালিটি ভবনটি তৈরি করানো হয়। আগামী দু’বছর ভবন দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে ওই ঠিকাদারি সংস্থাই। তবে এই প্রথম নয়। গত বছরই হাসপাতালের একতলায় রেডিওলজি বিভাগের ফল্স সিলিং ভেঙে পড়েছিল। সে বার অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছিলেন হাসপাতালের রেডিওলজিস্ট প্রণৎ টুডু।
সুপার মলয় আদক শুধু বলেন, “পুরো বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।” জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (ঝাড়গ্রাম) অশ্বিনীকুমার মাঝি আবার কোনও রকম মন্তব্য করতেই আপত্তি করেন।