প্রতীকী ছবি।
জ্বরের রোগীদের নিয়ে আর হাতুড়েগিরি চলবে না। এবার রোগীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট হাতুড়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হবে। এমনই পদক্ষেপ করার কথা ভাবছে ঝাড়গ্রাম জেলা স্বাস্থ্য দফতর। গত কয়েকদিনে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে ম্যালেরিয়ায় তিনজনের মৃত্যু হয়। প্রতি ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, স্থানীয় ভাবে হাতুড়ের কাছে দিন কয়েক চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হলে তাঁদের ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এর জেরে স্বাস্থ্য দফতরকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। এর পরেই নড়েচড়ে বলে স্বাস্থ্য দফতর।
স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সভা করে হাতুড়েদের ডেকে এ বিষয়ে সতর্ক করছেন। বৃহস্পতিবার বিনপুর-২ ব্লকের হাড়দা পঞ্চায়েত অফিসে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গি সংক্রান্ত এক সচেতনতা সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে হাজির ছিলেন বিনপুর-১ ব্লকের বিএমওএইচ খগেন্দ্রনাথ মাহাতো এবং বিনপুর-২ ব্লকের বিএমওএইচ উত্তম মাণ্ডি। সভায় এলাকার ১৫ জন হাতুড়েকে ডেকে বলা হয়, জ্বরের রোগীদের নিয়ে কেরামতি না দেখিয়ে সরাসরি সরকারি স্বাস্থ্যকর্মীদের বিষয়টি জানাতে হবে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, নিম্নচাপ সরে গিয়ে রোদ ওঠার ফলে এক-দু’দিনের মধ্যে ম্যালেরিয়ার মশা আরও সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। আক্রান্তের সংখ্যাটাও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসনের তরফে নির্দেশিকা জারি করে ৮ টি ব্লকের বিডিও-দের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।
আগামী ৩ অগস্ট ম্যালেরিয়া নিয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন জেলাশাসক। সিএমওএইচ (ঝাড়গ্রাম) অশ্বিনীকুমার মাঝি বলেন, “হাতুড়েরা ভুল চিকিৎসা করে রোগীর জীবন বিপন্ন করে তুলছেন। এরকম চলতে থাকলে সংশ্লিষ্ট হাতুড়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার কথা ভাবা হচ্ছে। তাঁদের বলা হয়েছে, জ্বরের রোগী পেলেই তা স্বাস্থ্য কর্মীদের নজরে আনতে হবে।”
তিনি জানান, আক্রান্ত এলাকাগুলিতে মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে। এলাকাবাসীর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। মেডিকেটেড মশারিও বিলি করা হচ্ছে।