মেদিনীপুরেও চায়ের আড্ডায় মোদীর ‘মন কি বাত’

প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কি মেদিনীপুরে ‘চায়ে পে চর্চা’- র পরিকল্পনা করা হয়েছে? বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি শমিত দাশ বলেন, “একটি চা চক্রের কথা ভাবা হচ্ছে। বিষয়টি এসপিজি- কে জানানো হবে।”

Advertisement

মেদিনীপুর

শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৮ ০১:২৩
Share:

সভাস্থলে শুরু হয়েছে মাপজোক।

এই প্রথম মেদিনীপুরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১৬ জুলাই সেই কর্মসূচিতে মোদীর উপস্থিতিতে মেদিনীপুরে ‘চায়ে পে চর্চা- র পরিকল্পনা করছে জেলা বিজেপি। দলের এক সূত্রে খবর, এই পরিকল্পনার কথা রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। এসপিজি-কেও (স্পেশ্যাল প্রোটেকশন গ্রুপ) জানানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর সুরক্ষার দিকটি দেখভাল করে এই এসপিজি।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কি মেদিনীপুরে ‘চায়ে পে চর্চা’- র পরিকল্পনা করা হয়েছে? বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি শমিত দাশ বলেন, “একটি চা চক্রের কথা ভাবা হচ্ছে। বিষয়টি এসপিজি- কে জানানো হবে।” জানালেই যে অনুমতি মিলবে, এমনটা নয়। তবে হাল ছাড়তে নারাজ জেলা বিজেপি। দলের এক জেলা নেতার কথায়, “মেদিনীপুরে মোদীজি আসছেন। চায়ের পেয়ালায় তুফান উঠলে মন্দ হবে না!” ‘চায়ে পে চর্চা’- এ জেলার বিশিষ্টজনেদের সামিল করানোর পরিকল্পনা রয়েছে দলের। দলের এক বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সভার প্রস্তুতি হিসেবেই ওই বৈঠক হয়। বিজেপির জেলা নেতৃত্ব চাইছেন, চা চক্রে ৩০-৪০ জন বিশিষ্টজনকে শামিল করাতে। এক জেলা নেতা মানছেন, “চিকিৎসক, অধ্যাপক, শিল্পী সহ বেশ কয়েকজনকে নিয়ে এই চা চক্রের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।”

জেলা বিজেপি চাইছে, প্রয়োজনে সভাস্থলের পাশেই শামিয়ানা খাটানো হোক। সেখানে বিশিষ্টজনেরা থাকবেন। সভা শুরুর আগে বা পরে সেখানে বিশিষ্টজনেদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মিলিত হবেন। ১৫-২০ মিনিট সময় দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা এখন আরও জোরদার করা হয়েছে। দিন কয়েক আগেই প্রধানমন্ত্রীর ‘সুরক্ষা বলয়’ বা ‘সিকিউরিটি প্রোটোকল’ নির্দিষ্ট করার কথা বলা হয়েছে সব রাজ্যকে। সুনির্দিষ্ট ছাড়পত্র ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাউকেই দেখা করতে দেওয়া হয় না। এই পরিস্থিতিতে কি এমন আয়োজন সম্ভব? এসপিজি-র অনুমতি মিলবে? জেলা বিজেপির এক নেতার কথায়, “অনুমতি মেলাটা সহজ নয়। তাও আমরা চেষ্টা করছি। দেখা যাক কি হয়।”

Advertisement

গত মাসেই পুরুলিয়ায় সভা করে গিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এ বার রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সভা করবেন মেদিনীপুরের কলেজ-কলেজিয়েট স্কুলের মাঠে। ধান-সহ ১৪টি খরিফ শস্যের সহায়কমূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদীর মন্ত্রিসভা। তাই মোদীকে অভিনন্দন জানাতে ১৬ জুলাই এই সভা করবে বিজেপি। সেই ‘কৃষক কল্যাণ সমাবেশ’- এ অভিনন্দন গ্রহণ করার কথা মোদীর। বিজেপি চেয়েছিল, মোদীর সভা হোক জঙ্গলমহলে। সেই সূত্রেই মেদিনীপুরে সভা। বিজেপি সূত্রের মতে, এই সভায় মোদীর ‘কৃষকবন্ধু’ ভাবমূর্তি প্রচারের পাশাপাশি এ রাজ্যে তৃণমূল সরকারের উপর চাপ তৈরি করা যাবে। বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তুষার মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “মেদিনীপুরে ঐতিহাসিক সভা হতে চলেছে। রেকর্ড ভিড় হবে।”

‘চায়ে পে চর্চা- র প্রবক্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ‘মন কি বাত’-ও তাঁরই অনুষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রীর এই ‘মনের কথা’ প্রতি মাসের শেষ রবিবার আকাশবাণীতে সম্প্রচারিত হয়। মাঝেমধ্যেই দলের উদ্যোগে বিভিন্ন এলাকায় রেডিয়োতে সম্প্রচারিত প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনানো হয়। ‘মন কি বাত, চায় কে সাথ’ কর্মসূচিও হয়।

সেই ধারা বজায় রেখে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এ বার মেদিনীপুরেও এমন কর্মসূচির পরিকল্পনা করছে জেলা বিজেপি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement