ঝাড়গ্রামের অনুষ্ঠানে সুকুমার হাঁসদা। নিজস্ব চিত্র
মহিলাদের স্বনির্ভর করে গ্রামীণ অর্থনীতির হাল ফেরানো এবং পর্যটনের প্রসার। এই দুই লক্ষ্য নিয়ে বুধবার ঝাড়গ্রামে ‘শাল ও সাবাই প্রশিক্ষণ ও উৎকর্ষকেন্দ্র এবং প্রদর্শশালা’র উদ্বোধন হল। এ দিন দুপুরে হাওড়া থেকে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার সুকুমার হাঁসদা, ঝাড়গ্রামের সাংসদ উমা সরেন, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস, জেলাশাসক আয়েশা রানি প্রমুখ। হাওড়া থেকে মুখ্যমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার পরে ঝাড়গ্রামে কেন্দ্রের ফলকের আবরণ উন্মোচন করেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার সুকুমার হাঁসদা। খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদের অধীনে চালু হল এই কেন্দ্রটি। ঝাড়গ্রাম শহরের বাঁদরভুলা এলাকায় ২১ হাজার ৭৫০ বর্গফুট এলাকা জুড়ে তৈরি হয়েছে তিনতলা ওই কেন্দ্রটি।
খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদের মুখ্য নির্বাহী আধিকারিক মৃত্যুঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, স্বনির্ভর দলের সমন্বয়ে গঠিত মহাসঙ্ঘের আওতাধীন প্রতিটি মহিলা স্বনির্ভর দলকে একটি মোল্ডিং ও দু’টি করে সেলাই মেশিন দেওয়া হয়েছে। মহিলাদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। মহিলারা শালপাতার থালা-বাটি সহ বিভিন্ন ধরনের আধুনিক জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয় সামগ্রী তৈরি করবেন। আইআইটি খড়্গপুরের সাহায্য নিয়ে বুফেতে খাওয়ার উপযোগী উন্নত প্রযুক্তির শক্তপোক্ত শালপাতার থালা তৈরি করার প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। সাবাই ঘাসের (বাবুই) নানা হস্তশিল্প তৈরিরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। শালপাতা ও সাবাইয়ের তৈরি সামগ্রীর বিপণন কেন্দ্রও হয়েছে এখানে। সুকুমার বলেন, বনজ সম্পদকে কাজে লাগিয়ে গ্রামীণ অর্থনীতির উজ্জীবনের জন্য এই প্রকল্পটি তৈরি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলাশাসক আয়েষা রানি বলেন, ‘‘ঝাড়গ্রাম জেলার আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য এই কেন্দ্রের প্রয়োজন ছিল। বনজ সম্পদ থেকে উৎপাদিত সামগ্রীর আন্তর্জাতিক বাজারজাত করার জন্য অনলাইন ট্রেডিং এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’ তিনি জানান, এই সামগ্রী বিপণনের জন্য ট্রেডমার্কের ‘শাল্বী’ নামটি মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন। দেশের বড় শহরে এবং বিদেশের বাজারও ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।