জনসংযোগে সুশান্ত ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।
ভোটের আগে জনসংযোগ রাজনৈতিক দলের নেতাদের অন্যতম প্রধান অস্ত্র। শাসক থেকে বিরোধী, সব দলের নেতাদেরই দেখা যাচ্ছে মানুষের কাছে পৌঁছতে। এ বার সেই তালিকায় যোগ দিলেন সিপিএম নেতা তথা গড়বেতার প্রাক্তন বিধায়ক সুশান্ত ঘোষও। আদালতের নির্দেশে তাঁর এখন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কোথাও যেতে কোনও বাধা নেই। এর আগে চন্দ্রকোনা রোডে দু’টি মিছিলে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি। ২০১১ সালের জুন মাসের পর থেকে নিজের বিধানসভা এলাকায় তাঁর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তার পর থেকে বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন তিনি। বিধানসভা নির্বাচনের আগে সুশান্ত ঘোষকে কাজে লাগিয়ে এলাকায় জনসংযোগ বাড়াতে চাইছে সিপিএমও।
গত বিধানসভা নির্বাচনের পর গড়বেতা, চন্দ্রকোনা রোড, গোয়ালতোড় এলাকায় যেমন নিজেদের আধিপত্য বাড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, তেমনই বৃদ্ধি পেয়েছে বিজেপির প্রভাবও। যাঁরা এক সময় সিপিএমের সাথে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের অনেকেই এখন হয় বিজেপিতে বা তৃণমূলে। কেউ কেউ আবার নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে রয়েছেন। ভোটের আগে নিষ্ক্রিয়দের সক্রিয় করতে এবং দল ছেড়ে চলে যাওয়া ‘কমরেড’দের আবার দলে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে সিপিএম। এই লক্ষ্য নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে গড়বেতা, চন্দ্রকোনা এলাকায় ঘুরে পুরনো সঙ্গীদের কাছে যাচ্ছেন সুশান্ত ঘোষ।
শুধু দলের পুরনো সদস্য নয়, সাধারণ মানুষদের বাড়িতেও যাচ্ছেন তিনি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তিনি বোঝানোর চেষ্টা করছেন, তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি উভয়েই রাজ্যে মানুষের কাছে বিপদ। সুশান্তের আশা, ‘‘যাঁরা নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে আছেন, তাঁরা আবার লাল ঝান্ডা হাতেই ময়দানে নেমে পড়বেন।’’