প্রতীকী ছবি।
এ বার পুজোয় মদ বিক্রি নিয়ে কিছুটা চিন্তায় ছিল আবগারি দফতর। মণ্ডপের সামনে ভিড় এ বার কম হলেও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এবার পুজোয় মদ বিক্রি খুব একটা হতাশ করেনি আবগারি দফতরকে। পুজোর পাঁচদিন জেলায় প্রায় ২০ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে এ বার। করোনা আবহে যা যথেষ্ট ইতিবাচক বলে মনে করছেন আবগারি আধিকারিকরা।
করোনা সংক্রমণের মধ্যে এবার হয়ে গেল দুর্গাপুজো। প্রতিমা দর্শন নিয়ে বেশ কিছু শর্ত আরোপ করে উচ্চ আদালত। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় পুজোর দিনগুলিতে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বাড়িতে থাকার আবেদন জানানো হয়। ষষ্ঠী থেকে অষ্টমী এই তিনদিন পুজোর মণ্ডপগুলিতে ভিড় ছিল বেশ হালকা। নবমী ও দশমী এই দু’দিন তুলনায় ভিড় বেশি ছিল মণ্ডপগুলির সামনে। গত বছর ষষ্ঠী থেকে দশমী পাঁচদিনে জেলায় মদ বিক্রি হয়েছিল প্রায় ২৫ কোটি টাকার। তাও করোনা পরিস্থিতি ছিল। এ বার করোনা আবহে উৎসবে মদ বিক্রি কতটা হবে তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন আবগারি দফতরের কর্তারা। কারণ সরকারের রাজস্বের একটা বড় অংশ আসে মব বিক্রি থেকে। তবে প্রতিকূল পরিস্থিতি হলেও সরকারকে খুব একটা হতাশ করেননি সুরাপ্রেমীরা। জেলা আবগারি দফতর সূত্রে খবর এ বছর ষষ্ঠী থেকে দশমী, জেলায় মদ বিক্রি হয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকার। এর মধ্যে বিলিতি মদ বিক্রি হয়েছে প্রায় ১২ কোটি টাকার। বিয়ার বিক্রি হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকার। আর দেশি মদ বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৭ কোটি টাকার মতো। পুজোর সময় জেলায় ২৪৮টি সরকারি লাইসেন্স প্রাপ্ত মদের দোকান থেকে মদ বিক্রি হয়েছে।
লকডাউন পর্বে বিভিন্ন খাত থেকে সরকারের রাজস্ব সংগ্রহ একেবারে তলানিতে ঠেকে। বন্ধ হয়ে যায় মদের দোকানও। মে মাস থেকে ধাপে ধাপে শর্ত সাপেক্ষে মদের দোকান খোলার অনুমতি দেয় সরকার। ফি বছর পুজোর মরসুমে মদ বিক্রি থেকে প্রচুর রাজস্ব সংগ্রহ করে সরকার। করোনা কালে লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন প্রচুর মানুষ। তার ওপর বিয়ার ও বিলিতি মদের মূল্যবৃদ্ধিতে এ বার মদ বিক্রি কতটা হবে সংশয়ে ছিলেন আবগারি কর্তারা। তবে করোনা আবহেও সরকারকে একেবারে হতাশ করেননি মদ্যপায়ীরা।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার আবগারি দফতরের সুপারিন্টেন্ডেন্ট যতন মণ্ডল বলেন, ‘‘এ বার পুজোয় প্রায় ২০ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে জেলায়। গত বছরের তুলনায় কিছু কম হলেও করোনা আবহে এই পরিমাণ বিক্রি যথেষ্টই ভাল। সামনেই কালীপুজো। ওই সময়েও মদ বিক্রি ভাল হবে আশা করা যায়।’’