ছবি সংগৃহীত।
জমি দেওয়া হয়েছিল ২০০৩ সালে। কিন্তু এখনও কোনও ক্ষতিপূরণ পাননি চাষিরা। পাথরায় মন্দির সংরক্ষণের জন্য জমিদাতা চাষিদের হয়ে এ বার আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (এএসআই) সদর দফতরে চিঠি দিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক (ডিএম) রশ্মি কমল।
গত বুধবার ১৬ অক্টোবর এএসআই-র এডিজিকে ওই চিঠি দিয়েছেন জেলাশাসক। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, পাথরার জমিদাতা ৭৭ জন চাষি দীর্ঘদিন ধরেই অসুবিধার মধ্যে রয়েছেন। তাঁদের দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হলে ভালো হয়। চিঠি দেওয়ার আগে পাথরা পুরাতত্ত্ব সংরক্ষণ কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ইয়াসিন পাঠানের সঙ্গে কথা বলেছেন জেলাশাসক। তারপরে নিজের উদ্যোগে দিল্লিতে এএসআই-র সদর দফতরে জমিদাতাদের দ্রুত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করার আবেদন করেন রশ্মি কমল। জেলাশাসক জানান, পাথরার জমিদাতাদের ক্ষতিপূরণের বিষয় নিয়ে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ায় জানিয়েছি। ইয়াসিন পাঠান বলেন, ‘‘এই প্রথম জেলার কোনও জেলাশাসক পাথরার জমিদাতাদের দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য এএসআই-এর সদর দফতরে চিঠি দিলেন। তাঁকে ধন্যবাদ।’’
পাথরায় কংসাবতী নদীর তীরে ৩৪টি প্রাচীন মন্দির সংরক্ষণের জন্য ২০০৩ সালের জুলাই মাসে ৭৭টি চাষি পরিবার এএসআই-কে জমি দান করেছিলেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তখন চাষিদের বাজার মূল্যে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এএসআই। ইয়াসিন পাঠান জানান, সেই সময়ে মন্দির ও মন্দির সংলগ্ন মোট ৯.৯৭৫ একর জমির জন্য ১ কোটি ৭৮ লক্ষ ৭৮ হাজার ৯৬৫ টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য হয়। সেই ক্ষতিপূরণ এখনও মেলেনি। জমিদাতা পরিবারের পক্ষে আশুতোষ মজুমদার, মৃত্যুঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়দের কথায়, ‘‘২০০৩ সালের থেকে বাজারদর এখন অনেক বদলে গিয়েছে। তবুও এখন যদি সেটাও পাই তাও অনেক। জেলাশাসক আমাদের জন্য ভেবেছেন জেনে ভাল লাগছে।’’
ক্ষতিপূরণ চেয়ে কয়েকমাস আগে মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষের কাছে আবেদন করেছিলেন ইয়াসিন। এর আগে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর কাছও আবেদন করা হয়েছিল। এএসআই কলকাতা সার্কেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক শুভ মজুমদার বলেন, ‘‘বিষয়টি দিল্লির সদর দফতর দেখছে। জেলাশাসক চিঠি দিয়েছেন বলে শুনেছি। আমরাও সব তথ্য দিল্লিতে পাঠিয়ে দিয়েছি।’’