টেঙ্গিয়ায় ক্ষোভ, সবেধন ,নলকূপের জলও ঘোলাটে

অবরোধ-বিক্ষোভের পরে ২৪ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। কিন্তু জলকষ্ট মেটেনি ঝাড়গ্রাম ব্লকের টেঙ্গিয়া গ্রামের মিদ্যাপাড়ায়।

Advertisement

দেবরাজ ঘোষ

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৫১
Share:

নোংরা: নলকূপ থেকে পাওয়া জল। নিজস্ব চিত্র

অবরোধ-বিক্ষোভের পরে ২৪ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। কিন্তু জলকষ্ট মেটেনি ঝাড়গ্রাম ব্লকের টেঙ্গিয়া গ্রামের মিদ্যাপাড়ায়।

Advertisement

এলাকায় প্রায় তিনশো পরিবারের বাস। জনসংখ্যা হাজারের বেশি। আর নলকূপ সাকুল্যে দু’টি। তার একটি আবার অকেজো। আর অন্যটি থেকে মেরামতের পরে জল পড়লেও তা ঘোলাটে, পানের অযোগ্য। প্রতিবাদে তাই সোমবার মিদ্যাপাড়ার লোকজন পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।

জলকষ্টে ক্ষুব্ধ মিদ্যাপাড়ার লোকজন গত মার্চেও একবার পথ অবরোধ করেছিলেন। তখন স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের আশ্বাসে ক্ষোভে মলম পড়েছিল। ওই অবরোধ-বিক্ষোভের পরে টেঙ্গিয়ার মিদ্যাপাড়ায় একটি অগভীর নলকূপ বসিয়েছিল জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর। কিন্তু তা থেকে আজ পর্যন্ত জল পড়েনি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। আর বাম আমলের পুরনো নলকূপটি সম্প্রতি মেরামত করা হলেও তা দিয়ে ঘোলাটে জল পড়ছে।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে সোমবার সকালে টেঙ্গিয়ায় ফের অবরোধ-বিক্ষোভ শুরু করেন মিদ্যাপাড়ার বাসিন্দারা। স্থানীয় সুরজিৎ দে, অরুণ চৌধুরীরা বলছিলেন, ‘‘গ্রামের মাহাতোপাড়া ও নাপিতপাড়ার লোকজন দিব্যি জল পাচ্ছে। অথচ কয়েকশো মিটার দূরে আমরা পানীয় জল পাচ্ছি না। পাতকুয়োর নোংরা জল পান করতে বাধ্য হচ্ছি।’’ গ্রামবাসীর আরও অভিযোগ, সমস্যার কথা বিডিওকে জানাতে গিয়ে লাভ হয়নি। ‘মিটিংয়ে ব্যস্ত’ বলে উনি দেখা করেননি। পঞ্চায়েত সমিতিকে জানিয়েও সুরাহা হয়নি। গ্রামের বধূ সুশীলা শীট, বেণু শীট, পুষ্পা শীটরা বলছিলেন, ‘‘সরকার বাড়িতে শৌচাগার বানিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু যেখানে পানীয় জল নেই, সেখানে শৌচাগারে ব্যবহারের জল কোথায় পাব!’’

সদ্য জেলা হয়েছে ঝাড়গ্রাম। জঙ্গলমহলের এই জেলার উন্নয়নে নানাবিধ প্রকল্পের ঘোষণাও করেছে সরকার। কিন্তু টেঙ্গিয়ার জলকষ্ট এবং তা সমাধানে বাসিন্দাদের বার বার পথে নামা বুঝিয়ে দিচ্ছে, অনেক এলাকাতেই এখনও পানীয় জলের মতো ন্যূনতম পরিষেবাটুকুও পৌঁছতে পারেনি প্রশাসন। এ প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রাম ব্লকের বিডিও সুদর্শন চৌধুরীর বক্তব্য, ‘‘জনস্বাস্থ্য-কারিগরি দফতর যে নলকূপ বসাচ্ছিল তার কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। আর অন্য নলকূপ থেকে ঘোলা জল পড়ছে গরমে জলস্তর নেমে যাওয়ায়। আমরা দ্রুত সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছি।’’

সমস্যা না মিটলে বড়সড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মিদ্যাপাড়ার বাসিন্দারা। তাঁদের সাফ কথা, শুধু অবরোধে কাজ না হলে এ বার রাস্তা কেটে অবরোধ-বিক্ষোভ হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement