Digha Sea Beach

সৈকতের পার্কে সত্যজিতের দুনিয়া

ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ে তছনছ হয়ে গিয়েছিল সৈকত সুন্দরী দিঘা। গত দু'বছর ধরে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে একের পর এক সৌন্দর্যায়নে এবং পুনর্গঠনের কাজ চলেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দিঘা শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৫:৫১
Share:

পার্ক সাজাতে এসেছে গুপি-বাঘা, প্রফেসর শঙ্কুর মূর্তি। নিজস্ব চিত্র।

‘পথের পাঁচালী’র অপু, দুর্গা থেকে প্রফেসর শঙ্কু। ‘হীরক রাজার দেশ’ থেকে 'গুপী গাইন, বাঘা বাইন'— শৈশবের যে চরিত্রগুলি আঁকড়ে বড় হয়েছেন বহু বাঙালি, তাদেরই এবার দেখা যাবে সৈকত শহর দিঘায়।

Advertisement

­মাস ঘুরলেই ইংরেজি নববর্ষ। তার আগে দিঘায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য খুলে যাবে ‘সত্যজিৎ রায় পার্ক’। লেখক, জনপ্রিয় চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের নামাঙ্কিত ওই নতুন পার্কটি বানাচ্ছে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ (ডিএসডিএ)। সেখানেই থাকছে সত্যজিৎ রায়ের সৃষ্টি নানা জনপ্রিয় চরিত্র। গবেষক চরিত্র 'প্রফেসর শঙ্কু', বিভূতিভূষণের পথের পাঁচালীর অপু এবং দুর্গা, গুপী গাইন আর বাঘা বাইনের মূর্তি থাকবে সেখানে। পার্কে গড়ে তোলা হয়েছে কাল্পনিক হীরক রাজার দেশ এবং ভূতের রাজ্য। হরেক রকমের মূর্তি বানানোর কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে।

ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ে তছনছ হয়ে গিয়েছিল সৈকত সুন্দরী দিঘা। গত দু'বছর ধরে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে একের পর এক সৌন্দর্যায়নে এবং পুনর্গঠনের কাজ চলেছে। ইতিমধ্যে সমুদ্রে বক্ষে প্রমোদ তরীতে চেপে পর্যটকেরা যাতে সমুদ্র এবং তার পার্শ্ববর্তী প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন তার জন্য উদ্যোগী হয়েছে পর্ষদ। এর মধ্যেই নতুন পার্ক হচ্ছে সৈকতে।

Advertisement

ডিএসডিএ কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, দিঘার বিশ্ব বাংলা দ্বিতীয় পার্কের পাশে গড়ে উঠছে সত্যজিৎ রায় নামাঙ্কিত এই পার্ক। আগামী নতুন বছর শুরু হওয়ার আগে পাকাপাকিভাবে সেই পার্ক পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে দিঘা- শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের এগজ়িকিউটিভ অফিসার সৈকত হাজরা বলেন, ‘‘পর্যটকদের কথা ভেবে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ এলাকায় উন্নয়ন পরিষেবা তুলে ধারার চেষ্টা করা হচ্ছে। সত্যজিৎ রায়ের তৈরি করা বিভিন্ন ছবির কিছু চিত্র তুলে ধরার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আগামী নতুন বছরে তা পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’

রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র দিঘাকে বিশ্ব পর্যটন মানচিত্রে তুলে ধরার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে ঝাঁ চকচকে রাস্তা, সাউন্ড সিসটেম, ডিজিটাল পরিষেবার পাশাপাশি, পুরীর আদলে জগন্নাথ ধাম নির্মাণ চলছে। সব মিলিয়ে বলা যেতে পারে, আগামী ২০২৪ সালের শুরু থেকেই দিঘা পর্যটকদের কাছে একটা আলাদা অনুভূতি হতে চলেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement