Republic Day Holiday

সপ্তাহান্তের টানা ছুটিতে বুকিংয়ের হিড়িক নেই সৈকতে

ওল্ড এবং নিউ দিঘা জুড়ে ছোট বড় সব মিলিয়ে হাজারখানেক হোটেল এবং লজ রয়েছে। যাদের প্রায় সকলেরই বক্তব্য, প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ছুটিতেও অধিকাংশ রুম ফাঁকা রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দিঘা শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ ০৭:১৮
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

রাত পোহালে প্রজাতন্ত্র দিবস। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সপ্তাহ শেষে শনি ও রবিবারের ছুটি। তবে একটানা তিন দিনের ছুটিতেও মন খারাপ সৈকত শহর দিঘার হোটেল ব্যবসায়ীদের। কারণ, আগামী কয়েক দিন সৈকতের হোটেল এবং লজগুলিতে অগ্রিম রুম বুকিংয়ের চাহিদা নেই বললেই চলে। স্থানীয় পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের দাবি, রাম মন্দির প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে হয়তো অযোধ্যায় ভিড় জমাচ্ছেন এ রাজ্যের বাসিন্দারা। তাই চলতি সপ্তাহ জুড়ে দিঘা প্রায় ফাঁকা।

Advertisement

ওল্ড এবং নিউ দিঘা জুড়ে ছোট বড় সব মিলিয়ে হাজারখানেক হোটেল এবং লজ রয়েছে। যাদের প্রায় সকলেরই বক্তব্য, প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ছুটিতেও অধিকাংশ রুম ফাঁকা রয়েছে। শুক্রবার প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ছুটি রয়েছে। তারপরে শনি ও রবিবার সপ্তাহ শেষের ছুটি। ওল্ড দিঘার এক হোটেল মালিক দেবব্রত দাস বলছেন, ‘‘ফোনে দু - একজন খোঁজ নিচ্ছেন রুম রয়েছে কি না। পরপর তিনদিন ছুটি রয়েছে। অথচ এমন দশা অন্য বছরে খুব একটা হয় না।’’ দিঘা- শঙ্করপুর হোটেল মালিক সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলছেন, ‘‘রাম মন্দির প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে পরিস্থিতি পাল্টে গিয়েছে। গোটা পূর্ব মেদিনীপুর সহ রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে বাঙালি পর্যটকেরা হয়তো চলে যাচ্ছেন রামলালার মন্দির দর্শনে। আপাতত দিঘায় আর সেরকম পর্যটকদের ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।’’

গত ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপর থেকে দেশজুড়ে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে অযোধ্যায়। ভিড় সামাল দিতে নাকাল হতে হচ্ছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে। তবে শুধু তার জেরে আপাতত কিছুদিন পর্যটকেরা উপকূলের পর্যটন কেন্দ্রগুলি থেকে দূরে সরিয়ে রাখছেন, সে কথা কতটা ঠিক, তা নিয়ে প্রশ্নও রয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের একাংশের আবার অনুমান, অত্যাধিক শীত এবং খারাপ আবহাওযার জন্যও হয়তো অনেকে এবার এই সময়ে দিঘা আসছেন না। অবশ্য দিঘার থেকে কিছুটা হলেও হোটেলে অগ্রিম রুম বুকিংয়ের চাহিদা রয়েছে বলে জানাচ্ছেন মন্দারমণির হোটেল মালিকেরা। স্থানীয় হোটেল মালিক সংগঠনের সভাপতি সন্দীপন বিশ্বাস বলছেন, ‘‘ইংরেজি বর্ষ বিদায় এবং বর্ষবরণের দিন যেভাবে ভিড় হয়েছিল সেরকম অবশ্য চাহিদা নেই। তবে কিছু কিছু হোটেলে রুম বুকিংয়ের চাহিদা বেড়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement