পার্কটি তৈরির কাজ চলছে জোরকদমে। নিজস্ব চিত্র।
দিঘাকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে একাধিক সরকারি পদক্ষেপ করা হয়েছে। গত কয়েক বছরে দিঘার রূপ অনেকটাই পরিবর্তিত হয়েছে। ইতিমধ্যে ওল্ড দিঘা থেকে ওড়িশার সীমানায় উদয়পুর পর্যন্ত সৈকত বাঁধানো হয়েছে। আলোয় সাজানো হয়েছে বিস্তীর্ণ সমুদ্রতট। ঝুপড়ি দোকান সরিয়ে তৈরি হয়েছে সাজানো গোছানো মার্কেট কমপ্লেক্স। এ বার সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে ‘ঢেউসাগর’।
নিউ দিঘার যাত্রানালার কাছে সমুদ্রের তট লাগোয়া ঝোপ জঙ্গল সাফ করে এই পার্কটি তৈরির কাজ চলছে জোরকদমে। শীঘ্রই পার্কটিকে পর্যটকদের জন্য সম্পূর্ণ খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে দিঘা উন্নয়ন পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত ২০১৯-এর ১১ ডিসেম্বর এই পার্কটির আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে সপ্তাহে কমপক্ষে ১দিন পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় এই জায়গায় শুধুমাত্র একটি বাগান ছিল। আর সামান্য কিছু গাছপালা লাগানো ছিল। প্রকল্পটির রূপদানে বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ১২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: মেরিন ড্রাইভে নাজেহাল
দিঘায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের একঘেয়েমি কাটাতে এই পার্ক কার্যকর হয়ে উঠবে বলেই মনে করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনা অনুযায়ী এই পার্কের মধ্যে তৈরি হচ্ছে একটি স্থায়ী সাংস্কৃতিক মঞ্চ। যেখানে প্রতি শনি ও রবিবার সাংস্কৃতিক আসর বসবে।
এ ছাড়াও পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য এখানে বোটিং, টয়ট্রেন পরিষেবাও চালু হবে ধাপে ধাপে। থাকবে সুসজ্জিত পার্ক, ফুড প্লাজা। সপ্তাহের প্রতিদিন এই পার্কটি দর্শকদের জন্য খোলা থাকবে। প্রবেশমূল্য মাথাপিছু ৫ টাকা করে ধার্য হয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: চাকরির টোপ, অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য
দিঘা উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান তথা রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরির কথায়, ‘‘২০১১ থেকে এখনও পর্যন্ত আমূল বদলে গিয়েছে দিঘার চেহারা। গতবছর মুখ্যমন্ত্রী দিঘায় এসে এই ঢেউসাগর পার্কটির উদ্বোধন করে গিয়েছিলেন। এ বার সেটি আরও সুসজ্জিত ভাবে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে।’’
সমুদ্রের পাশাপাশি দিঘায় আসা পর্যটকদের ‘ঢেউসাগর’-ও ভাল লাগবে বলে আশা প্রশাসনের।