নেতাই গণহত্যা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ডালিম পাণ্ডে এবং তপন দে ছাড়া পেলেন জেল থেকে। নিজস্ব ছবি।
৮ বছর পর জামিনে ছাড়া পেলেন নেতাই গণহত্যা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ডালিম পাণ্ডে এবং তপন দে। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্ট দু’জনকে জামিন দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পেলেন তাঁরা। লালগড়ে সিপিএমের প্রাক্তন শীর্ষনেতা অনুজ পাণ্ডেরও ওই মামলায় জামিনের আর্জি গৃহীত হয়েছে। কিন্তু মুক্তির নির্দেশপত্র সংশোধনাগারে এসে না পৌঁছনোয় বৃহস্পতিবার তিনি ছাড়া পাননি।
সন্ধ্যায় ডালিম ও তপন সংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে আসতেই তাঁদের ফুলের মালা পরিয়ে স্বাগত জানান সিপিএমের নেতা-কর্মীরা। ডালিম বলেন, ‘’১২ বছর ধরে মিথ্যে মামলায় জেলবন্দি ছিলাম। চক্রান্তের শিকার হয়েছিলাম। বাড়ি যাই, তার পর দলের নির্দেশ মেনে কাজ করব।’’
অন্য দিকে তপন বলেন, ‘‘কমিউনিস্ট পার্টি করার জন্যই জেল খাটতে হল। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কিছু বলব না। দলের নির্দেশ মেনে আগামী দিনে কাজ করব।’’
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি লালগড়ের নেতাইয়ে রথীন দণ্ডপাটের বাড়িতে থাকা সিপিএমের ‘সশস্ত্র শিবির’ থেকে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনায় নিহত হন ৪ জন মহিলা-সহ ৯ জন নিরীহ গ্রামবাসী। আহত হন অন্তত ২৮ জন। সেই ঘটনাতেই অভিযুক্ত অনুজেরা। সেই হত্যাকাণ্ডের সময়ে ডালিম ছিলেন সিপিএমের ধরমপুর লোকাল কমিটির সম্পাদক। তিনি অনুজের তুতো ভাইও। নেতাইয়ের ঘটনার পর ডালিম পালিয়ে যান। পরে ২০১৪-র ৩০ এপ্রিল হায়দরাবাদ থেকে ডালিম, তপন-সহ পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। ওই বছরের মে মাস থেকে তাঁরা জেলবন্দি।