ভোটের ঠিক আগে দলবদল। তৃণমূলে এলেন ক্ষীরপাই পুরসভার সিপিএম কাউন্সিলর মালতি মুর্মু। তৃণমূলের পতাকা হাতে ধরিয়ে তাঁকে দলে নিলেন দলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়। তারপরই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানিয়ে দিলেন সত্য কথাটি। কেন তৃণমূলে যোগ দিলেন? মালতীদেবীর কথায়, “কাজ করতে পারছিলাম না।” কাজে কে বাধা দিচ্ছিল?, মালতীদেবীর সাফ কথা, ‘‘তৃণমূল বাধা দিচ্ছিল। কিন্তু আমাকে তো মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। তাই তৃণমূলে যোগ দিলাম।” এই বেফাঁস মন্তব্যে স্বভাবতই বিড়ম্বনায় পড়েন দলীয় নেতৃত্ব। তা থেকে নিষ্কৃতি পেতে হাল ধরেন দলের কার্যকরী সভাপতি শ্যামপদ পাত্র। তিনি বলেন, “আসলে উনি যেটা বলতে চেয়েছেন তা হল, সিপিএমে থেকে কাজ করতে পারছিলেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।”
কিছুদিন ধরেই মালতীদেবীকে তৃণমূলে আসার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তৃণমুল নেতৃত্ব। তাতে অগ্রনী ভূমিকা নেন সিপিএম থেকে আগেই তৃণমূলে যোগ দেওয়া ক্ষীরপাই পুরসভার পুরপ্রধান দুর্গাশঙ্কর পান। আর তাতে সহযোগিতা করেন তৃণমূল নেতা গৌতম ভট্টাচার্য। সোমবার মালতীদেবীকে সরাসরি মেদিনীপুর জেলা পার্টি অফিসে নিয়ে আসা হয় দু’বারের এই সিপিএম কাউন্সিলরকে।