বোর্ডের উদ্বোধন করেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তী। প্রতীকী চিত্র।
রাজ্যে পালাবদলের ভিত যে জমি আন্দোলনের মাধ্যমে তৈরি হয়েছিল, এক সময় বামেদের ‘দুর্গ’ সেই নন্দীগ্রামে ফের বসল দলীয় মুখপত্রের বোর্ড। প্রায় দেড় দশক পরে বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে সিপিএমের মুখপত্র ‘গণশক্তি’র একটি বোর্ড বসানো হয়েছে। এ দিন নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের টেঙুয়া বাজারে ওই বোর্ডের উদ্বোধন করেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তী। ছিলেন দলের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহিও।
২০০৭ সালে নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলন শুরুর আগে অন্তত চারটি এলাকায় ‘গণশক্তি’র বোর্ড ছিল। বামেদের দাবি, ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির আড়ালে তৃণমূল ও মাওবাদীরা নন্দীগ্রামে তাদের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর এবং দখল করা শুরু করে। সে সময় ওই বোর্ডগুলিও ভাঙচুর করা হয়। তারপর আর বোর্ডগুলি চালু করা সম্ভব হয়নি। জেলা সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, বর্তমান পরিস্থিতিতে নন্দীগ্রামবাসী তৃণমূল এবং বিজেপির উপরে আস্থা হারাচ্ছে। সে কারণেই ফের গণশক্তির বোর্ড লাগানো গিয়েছে। বামেদের দাবি, গণশক্তি শুধুমাত্র মুখপত্র নয়, এই দৈনিক পত্রিকাটি সমাজের আসল চিত্রকে তুলে ধরে।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সেদিন রাজনৈতিক স্বার্থে এবং মাওবাদীদের উসকানিতে মদত দিয়েছিল তৃণমূল। এখন শহিদ স্মরণের নামে ভোটের রাজনীতি করছে দুই দল। মানুষকে চিরকাল তো বোকা বানিয়ে রাখা যায় না।’’
বামেদের পত্রিকার বোর্ড চালুর বিষয়ে বিজেপির তমলুক সাংগাঠনিক জেলার সহ-সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, ‘‘কেউ তাদের দলের পত্রিকার বোর্ড লাগালো বলেই তাদের জন সমর্থন বাড়ছে, এটা মনে করার কোনও কারণ নেই।’’ আর তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের কথা, ‘‘বামেদের ভোটেই বলবান হয়েছিল বিজেপি। এসবই তাদের নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া। তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে কোনও প্রভাব পড়েনি। পঞ্চায়েত ভোটে উন্নয়নই হাতিয়ার তৃণমূলের।’’