ফাইল চিত্র
করোনা আক্রান্ত মৃতদের দেহ সৎকারে বাধা আসছে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত ঘাটালের এক পরিযায়ী যুবকের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট বুধবার রাতে পজ়িটিভ আসে। রাতেই তাঁর দেহ যাবতীয় সুরক্ষা-বিধি মেনে মেদিনীপুরের এক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। সেই সময় পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার সকালেও স্থানীয় কয়েকজন বিক্ষোভ দেখান।
এমন ঘটনা আগেও হয়েছে। কখনও শ্মশানে, কখনও কবরস্থানে মৃত ব্যক্তির দেহ সৎকার করতে গিয়ে বাধা পেতে হয়েছে। হিমশিম খেতে হয়েছে পুলিশ-প্রশাসনকে। সমস্যা সমাধানে বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক দীননারায়ণ ঘোষের দফতরে এক বৈঠক হয়েছে। ছিলেন পুলিশ আধিকারিকেরা, শ্মশান এবং কবরস্থান কর্তৃপক্ষও। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, মেদিনীপুরে করোনা আক্রান্ত মৃত কারও দেহ কবর দিতে হলে তাঁতিগেড়িয়ার কবরস্থানে কবর দেওয়া হবে। মৃত কারও দেহ দাহ করতে হলে মহাতাবপুরের শ্মশানে করা হবে। বৈঠকে ছিলেন শহরের দুই প্রাক্তন উপপুরপ্রধান বিশ্বনাথ পাণ্ডব, এরশাদ আলি।
সাধারণত, মৃত ব্যক্তি যে এলাকার বাসিন্দা, পরিজনেরা চাইলে সেই এলাকাতেই তাঁর অন্ত্যেষ্টির কথা। এ ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হওয়ার কথাই নয়। মৃত করোনা সংক্রমিত হলে তখন যাবতীয় সুরক্ষা-বিধি মেনে প্রশাসন সৎকারের ব্যবস্থা করবে। অথচ, করোনা আতঙ্কে দেহ সৎকার করতে গিয়েও বাধা এসেছে। মেদিনীপুরে এমন একাধিক ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসনের আশা, এদিনের বৈঠকের পরে মেদিনীপুরে আর বাধার ঘটনা ঘটবে না। বৈঠক শেষে মহকুমাশাসক দীননারায়ণ বলেন, ‘‘কেউ কেউ আপত্তি করছিলেন। অথচ, এ ক্ষেত্রে আপত্তি থাকার কথাই নয়। যে সমস্যা হয়েছে সে সমস্যা যাতে আর না হয় তা নিশ্চিত করতেই এদিনের এই বৈঠক।’’ বৈঠকে উপস্থিত অন্য একজনের কথায়, ‘‘দ্রুত আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। বাধা এসেছে সেই সূত্রেই। অথচ, অযথা আতঙ্কের কিছু নেই। মানুষজনকে আরও সচেতন হতে হবে। আমাদেরই এলাকায় সেই সচেতনতা বাড়ানোর কাজটা করতে হবে।’’