পুড়শুড়ি গ্রামে ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত শিশু। নিজস্ব চিত্র
লকডাউনের মধ্যে ডায়েরিয়া দেখা দিয়েছে চন্দ্রকোনার পুড়শুড়ি গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত থেকে ওই গ্রামে ডায়েরিয়ার প্রকোপ শুরু হয়। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২৫ জন। তাঁদের মধ্যে ৬ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বাকিদের চিকিৎসা চলছে গ্রামের অস্থায়ী মেডিক্যাল শিবিরে। বুধবার সকালে মেডিক্যাল দল ওই এলাকায় যায়।
স্বাস্থ্য দফতরের অনুমান, পচা দুধ দিয়ে তৈরি দই ও মিষ্টি খেয়েই সমস্যা হয়েছে। অভিযুক্ত মিষ্টি ব্যবসায়ী চরণ হাজরাকে আটক করেছে পুলিশ। মিষ্টির দোকানটিকেও সিল করে দেওয়া হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। এলাকায় শিবির করা হয়েছে। দই ও মিষ্টির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, ওই দোকানের সব মিষ্টি নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। দুধ কোথা থেকে এসেছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘাটালের এসডিপিও অগ্নীশ্বর চৌধুরী জানান, সংশ্লিষ্ট মিষ্টি ব্যবসায়ীকে আটক করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বাংলা নববর্ষের দিনে পুড়শুড়ি গ্রামে একটিই মিষ্টির দোকান খোলা ছিল। সেখান থেকে দই ও মিষ্টি কিনে খাওয়ার পরেই অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কয়েক জন শিশু অচৈতন্য হয়ে পড়ে। মঙ্গলবার রাতে চারজনকে ঘাটালের বীরসিংহ গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার সকালে আরও দু’জনকে ক্ষীরপাই গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অনেককে বাড়িতে স্যালাইন দেওয়া হয়।