coronavirus

ভাইয়ের করোনা, পরিবর্তে হাসপাতালে ভর্তি দাদা!

কী ভাবে এমন ভুল হল তা নিয়ে অবশ্য মুখে কুলুপ আধিকারিকদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর ও পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২০ ০০:৫৯
Share:

প্রতীকী ছবি

করোনা আক্রান্ত এক তরুণের পরিবর্তে তাঁর দাদাকে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়েছে ঝাড়গ্রাম জেলা স্বাস্থ্য-প্রশাসনের অন্দরে। কী ভাবে এমন ভুল হল তা নিয়ে অবশ্য মুখে কুলুপ আধিকারিকদের।

Advertisement

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক সূত্রে খবর, ঝাড়গ্রাম শহরের অদূরে একটি গ্রামের ১৮ বছরের এক তরুণের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ হওয়ায় গত ১০ মে রাতে তাঁকে পাঁশকুড়ার বড়মা করোনা হাসপাতালে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু হয়। ওই তরুণের দাদা ওড়িশার সম্বলপুরে সোনার দোকানে কাজ করেন। লকডাউনের আগে ওই তরুণ সম্বলপুরে দাদার কাছে গিয়ে আটকে পড়েন। তারপর কিছুটা লরিতে ও কিছুটা হেঁটে ৭ মে তাঁরা ঝাড়গ্রামে পৌঁছন। ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটিতে পরীক্ষা করিয়ে তাঁরা গৃহবাসে ছিলেন। গত ৭ মে করোনা পরীক্ষার জন্য তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ৯ মে ১৮ বছরের তরুণের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। ১০ মে রাতে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে পুলিশ পাহারায় ওই তরুণকে বড়মা হাসপাতালে পৌঁছনো হয়।

কিন্তু বৃহস্পতিবার জানাজানি হয়, ওই তরুণের পরিবর্তে তাঁর ২২ বছরের দাদাকে বড়মায় ভর্তি করানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ১৮ বছরের তরুণকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে ফের গ্রামে পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা যান। কিন্তু গ্রামবাসীদের ক্ষোভে ফিরতে হয় তাঁদের। ওই তরুণের দাদার রিপোর্ট কী এসেছে তা জানা যায়নি। বড়মায় ভর্তি তরুণ ফোনে দাবি করেন, ‘‘এখানে আসার পরে ডাক্তারবাবুরা আমার বয়স জানতে চান। ওঁদের কাছে যে কাগজ ছিল তাতে আক্রান্তের বয়স ছিল ১৮। সেটা আসলে আমার ভাইয়ের বয়স।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: চলে গেলেন ১৮৫ জন, নার্সরা রাজ্য ছাড়ায় সঙ্কট হাসপাতালে

বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। সিপিএমের ঝাড়গ্রাম জেলা সম্পাদক পুলিনবিহারী বাস্কে বলেন, "আক্রান্তের পরিবর্তে তাঁর দাদাকে বড়মায় পাঠানো হয়েছে। প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের চূড়ান্ত সমন্বয়ের অভাবেই এমন ঘটেছে।’’ জেলা পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠৌর বলেন, ‘‘পুলিশের কাজ এসকর্ট দেওয়া। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমাদের কিছু জানা নেই।’’ যদিও জেলাশাসক আয়েষা রানি ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা করোনা বিষয়ে কিছু বলবেন না বলে জানিয়েছেন। পূর্ব মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘ভুল হয়ে থাকলে সেটা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়।’’
তবে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের ঘরোয়া সূত্রে খবর, স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসনের তরফে নাম দেওয়ার ক্ষেত্রে ভুল হতে পারে। বড়মা হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক আধিকারিকও মানছেন, ‘‘গোলমালের বিষয়টি আমিও শুনেছি। তবে ভর্তি হওয়া যুবক যদি করোনায় আক্রান্ত না হয়ে থাকেন, তাহলেও ভয়ের কিছু নেই। করোনা চিকিৎসায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement