Midnapore Medical College

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে বিচারাধীন বন্দির রহস্যমৃত্যু! শৌচাগার থেকে মিলল দেহ

হাসপাতাল সূত্রে খবর, শুক্রবার দুপুরে হাসপাতালের শৌচাগারে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই বন্দি। শৌচাগার থেকে তিনি বেরোচ্ছেন না দেখে ভিতরে ঢোকেন নিরাপত্তারক্ষীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২৩ ২১:১১
Share:
Convict person’s dead body found in Midnapore Medical College and hospital

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম দুলাল ভক্তা (৪৯)। ঝাড়গ্রাম জেলার বিরিহান্ডির বাগছাপা গ্রামের বাসিন্দা তিনি। —প্রতীকী চিত্র।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক বিচারাধীন বন্দির রহস্যমৃত্যু হল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। হাসপাতালের ‘নকশাল কেবিন’-এ ভর্তি ছিলেন খুনের চেষ্টা মামলায় ধৃত ওই বন্দি। শুক্রবার হাসপাতালের শৌচাগার থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম দুলাল ভক্তা (৪৯)। ঝাড়গ্রাম জেলার বিরিহান্ডির বাগছাপা গ্রামের বাসিন্দা দুলাল চলতি মাসের ৫ তারিখ বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। কেবিনের বাইরে নিরাপত্তারক্ষীরা থাকলেও কী করে এমন ঘটনা ঘটল, তার তদন্ত শুরু করেছেন জেল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ। খবর পেয়ে হাসপাতালে যান ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটও।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, শুক্রবার দুপুরে হাসপাতালের শৌচাগারে গলায় গামছা দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই বন্দি। অনেক ক্ষণ তিনি শৌচাগার থেকে বেরোচ্ছেন না দেখে ভিতরে ঢোকেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁরা ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান দুলালকে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ঝাড়গ্রাম থানা অঞ্চলে ২০২২ সালের একটি মামলায় গ্রেফতার হন দুলাল। গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ঝাড়গ্রাম জেলে বন্দি ছিলেন তিনি। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৬ এবং ৩০৭ ধারায় মামলা ছিল। চিকিৎসার জন্য চলতি বছরের ১ এপ্রিল মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। সেখান থেকে গত ৫ মে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। বন্দির মৃত্যু নিয়ে ঝাড়গ্রাম জেল কর্তৃপক্ষ বলেন, ‘‘বিচারাধীন বন্দির চিকিৎসার জন্য মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।’’ সূত্রের খবর, ওই সময় যে দু’জন ওয়ার্ডেন দায়িত্বে ছিল তাঁদের শো-কজ় করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement