শহরের সকলে এখনও ডিজিট্যাল রেশন কার্ড পাননি। ‘সকলের জন্য বাড়ি প্রকল্প’ থেকেও বঞ্চিত খড়্গপুরের রেল এলাকার বস্তির বাসিন্দারা। কংগ্রেসের অভিযোগ, এ সব দিকে নজর না দিয়ে ভোটের আগে শহরের রাস্তায় আলো লাগিয়ে সস্তার রাজনীতি করছে তৃণমূল পরিচালিত খড়্গপুর পুরসভা।
বুধবার গোলবাজারে কংগ্রেস কার্যালয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে পুরসভার বিরোধী দলনেতা রবিশঙ্কর পাণ্ডে বলেন, “পুরসভা থেকে ডিজিট্যাল রেশন কার্ড দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু এখনও কার্ড বিলি হয়নি। শহরের রেল এলাকার বস্তিবাসীদের জন্যও রেশন কার্ড আসেনি। তা নিয়েও পুরসভার মাথাব্যথা দেখা যাচ্ছে না।’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘শুধু আলো দিয়ে কী হবে? আমরা এ বিষয়ে পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে প্রতিবাদ জানাব। ভবিষ্যতে শহরে জোরালো আন্দোলন হবে।”
কংগ্রেসের অভিযোগ, কোনও টেন্ডার ছাড়াই শহরের বিভিন্ন রাস্তায় আলোকস্তম্ভ বসাচ্ছে পুরসভা। রেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই শহরের রেল এলাকায় আলো বসানো হচ্ছে। কংগ্রেস নেতৃত্বের আশঙ্কা, রেলের অনুমতি ছাড়া ওই আলো বসানোয় পরবর্তীকালে রেল তা ভেঙেও দিতে পারে।
রেল এলাকায় বস্তিগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ বণ্টন দফতরকে অনুমতি দেয় পুরসভার বিগত পুরবোর্ড। যদিও রেলের বাধায় বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ থমকে যায়। রেলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে পুরসভা। রবিশঙ্করবাবুর অভিযোগ, “আমরা রেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলাম। সেই মামলা এখন গতি হারিয়েছে। রেল এলাকার বস্তিবাসীদের সকলের জন্য বাড়ি প্রকল্পের আওতায় আনার কাজ করছে না পুরসভা।’’
যদিও এ বিষয়ে খড়্গপুরের তৃণমূল পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “উন্নয়ন দেখে বিরোধী দলনেতা তথা প্রাক্তন পুরপ্রধান সহ্য করতে পারছেন না। তাই এ সব কথা বলছেন।’’ তাঁর কথায়, ‘‘রেল এলাকায় আলো, জল, বাড়ি সবকিছুর প্রয়োজন রয়েছে। আমরা সকলের জন্য বাড়ি প্রকল্পে রেল এলাকা মোট পনেরো হাজার বাসিন্দার নাম পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু তার মধ্যে এক হাজার বাসিন্দাদের বাড়ি তৈরির অনুমোদন হয়েছে। বাকিগুলিও ধীরে ধীরে হবে বলে আমার আশা।”