Student Death At Mahishadal

অনলাইনে জুয়া খেলে দেনার চাপ, মহিষাদলের হস্টেলে গলায় দড়ি দিলেন দ্বিতীয় বর্ষের কলেজছাত্র!

অভিজিৎ ফিজিয়োথেরাপি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার হস্টেলের আবাসিকেরা ক্লাসে গিয়েছিলেন। কিন্তু অভিজিৎ ক্লাসে যাননি। দুপুরে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৫ ২০:৫১
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

অনলাইনে জুয়া খেলতে গিয়ে বিপুল পরিমাণ দেনা করে ফেলেছেন। শোধ দেবেন কী ভাবে ভেবে উঠতে পারেননি। সে নিয়ে মানসিক উদ্বেগে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক কলেজপড়ুয়া। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের ক্ষুদিরাম বোস কলেজ অফ ফার্মেসি-র হস্টেলে। মৃতের নাম অভিজিৎ পাত্র। ২২ বছরের ওই পড়ুয়ার বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং থানা এলাকায়।

Advertisement

অভিজিৎ ফিজিয়োথেরাপি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুরে হস্টেলের আবাসিকেরা যে যার ক্লাসে গিয়েছিলেন। কিন্তু অভিজিৎ ক্লাসে যাননি। দুপুরে অভিজিতের পাশের ঘরে থাকা এক ছাত্র ব্যক্তিগত প্রয়োজনে তাঁকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু যোগাযোগ করতে পারেননি।

তখন তিনি হস্টেলের এক কর্মীকে ডেকে অভিজিতের খোঁজ নিতে পাঠান। ওই কর্মী জানান, অভিজিৎ যে ঘরটিতে থাকতেন, তার দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। অনেক ডাকাডাকির পরেও সাড়াশব্দ না পেয়ে তিনি কর্তৃপক্ষকে জানান। এর পর দরজা ভেঙে অভিজিতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। হস্টেলের আবাসিক মৃদুল পালের কথায়, ‘‘আমি অভিজিতের থেকে জুনিয়র। পাশের রুমে থাকতাম। একটি দরকারে সকাল থেকে বেশ কয়েক বার ওকে ফোন করেও ওকে না পেয়ে নিরাপত্তারক্ষীকে বিষয়টি জানাই। তার কিছু ক্ষণ পরে জানতে পারি, ও আত্মহত্যা করেছে!’’

Advertisement

খবর পেয়ে মহিষাদল থানার পুলিশ কলেজের হস্টেলে যায়। উদ্ধার করা হয় ছাত্রের দেহ। প্রাথমিত তদন্তে উঠে এসেছে, অনলাইনে বেটিং করতেন ওই কলেজছাত্র। জুয়া খেলতে বেশ কিছু টাকা ধার করেছিলেন। কিন্তু কী ভাবে সেই টাকা শোধ করবেন, ভেবে পাননি যুবক। মনে করা হচ্ছে, এই কারণে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। কলেজের এক নিরাপত্তারক্ষী জানিয়েছেন, মৃত ছাত্রের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। তাতে অনলাইনে বেটিং লড়ার কথা বলা আছে। লেখা রয়েছে, ঋণের কথা। মহিষাদল থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ছাত্রের বাড়িতে খবর পাঠিয়েছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement