প্রতীকী চিত্র।
লকডাউন শুরুর আগেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে পডুয়াদের চাল-আলু বিলির নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। বেঁধে দিয়েছিল সময়সীমা। কিন্তু তার পরেও লকডাউন চলাকালীন পড়ুয়াদের চাল-আলু বিলি করার অভিযোগ উঠল কোলাঘাটে। শুধু তাই নয়, নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্য সামগ্রীও বিলি করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদে শুক্রবার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকাবাসী।
ঘটনাটি কোলাঘাটের ডিমহল পশ্চিম পাড়ার। করোনা পরিস্থিতিতে ২০ মার্চের মধ্যে সমস্ত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিশুদের জন্য দু’কিলো চাল ও আলু বিলি করার নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন। ডিমহল গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, এলাকার ৩৩৭ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী সরকার নির্ধারিত তারিখে চাল, আলু বিতরণ করেননি। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয় চাল, আলু বিতরণ। ওই কেন্দ্রের উপভোক্তাদের অভিযোগ, সরকারি নির্দেশ মতো দু’কিলোর বদলে দেড় কিলো করে চাল ও আলু দেওয়া হচ্ছিল। এর পরেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এসে বিক্ষোভ দেখান কয়েক জন অভিভাবক। বিক্ষোভের মুখে সন্ধ্যা ঘাঁটা মিদ্যা নামে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী কয়েকজনকে দু’কিলো করে চাল-আলু দেওয়ার পর বাকিদের তাঁর বাড়িতে গিয়ে সে সব সংগ্রহ করতে বলেন এবং কেন্দ্র বন্ধ করে চলে যান। একজন অভিভাবক কৃষ্ণেন্দু গৌড়ী বলেন, ‘‘কেন্দ্রের কর্মী দেড় কিলোগ্রাম করে চাল, আলু দিচ্ছিলেন। আমরা বিক্ষোভ দেখাতে কয়েকজনকে মাত্র দু-কিলো করে চাল-আলু দিয়ে বাড়ি চলে যান। এখনও অনেকে পাননি।’’
কম খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে সন্ধ্যার দাবি, ‘‘আমি দু-কিলো করেই চাল, আলু দিয়েছি। এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন।’’ কিন্তু কেন সরকারের নির্ধারিত দিনের পরে বিলি করা হল চাল, আলু? সন্ধ্যার জবাব, ‘‘ওই সময় পর্যাপ্ত আলু পাওয়া যায়নি। তাই দেরি হয়েছে।’’
এ দিনের বিক্ষোভ এবং স্থানীয়দের অভিযোগের বিষয়ে পাঁশকুড়া ২ ব্লকের শিশু প্রকল্প আধিকারিক প্রীতিলতা মণ্ডল বলেন, ‘‘এখন চাল, আলু বিলি করার কথা নয়। অভিযোগ খোঁজ নিয়ে দেখব।’’