স্কুলের মিডডে মিলে পরিবেশন করা হয়েছে মুরগির মাংস। — নিজস্ব চিত্র।
বাংলা নববর্ষের দ্বিতীয় দিনে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেশির ভাগ স্কুলের মিড ডে মিলের পদে ছিল মুরগির মাংস। সঙ্গে কোথাও সয়াবিনের তরকারি, কোথাও বা অন্য তরকারি। যদিও জেলার কোনও কোনও স্কুলে বাসন্তী পুজোর কারণে মাংসের বদলে পরিবেশন করা হয়েছে পনির।
সোমবার মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ বালিকা বিদ্যালয়ে ৫৮৫ জন ছাত্রীর পাতে পড়েছে মুরগির মাংস, ভাত এবং চাটনি। কেউ কেউ আবার ভাতের পরিবর্তে বাড়ি থেকে নিয়ে আসা মুড়ি দিয়ে খেয়েছে মুরগির মাংস। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সাথী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মাসে এক দিন করে মুরগির মাংস রান্না হয়। তবে সোমবার একটু বিশেষ ভাবে রান্না করা হয়েছে মুরগির মাংস।’’ জঙ্গলমহলের শালবনি ব্লকের মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠ স্কুলের মিড ডে মিলের মেনুতে ভাত-মাংসের পাশাপাশি ছিল নানা সবজি দিয়ে তরকারি। প্রধান শিক্ষক প্রসূন পরিয়া বলেন, ‘‘এখানে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বেশি। সোমবার ৮০০ জন ছাত্র-ছাত্রীর জন্য রান্নার ব্যবস্থা করা হয়।’’
বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ স্কুলে পরিবেশন করা হয়েছে আলুভাজা, ভাত, মুরগির মাংস। প্রধান শিক্ষক অরূপ ভুঁইয়া বলেন, ‘‘বাংলা বছরের দ্বিতীয় দিনে পড়ুয়াদের পাতে মাংস দেওয়া হয়েছে।’’ মেদিনীপুর কলেজিয়েট বালিকা বিদ্যালয়েও দুপুরে পড়ুয়াদের দেওয়া হয়েছে ভাত, মুরগির মাংস। যারা মাংস খায়নি, তাদের জন্য ছিল ডিমের ঝোল। টিচার ইন-চার্জ অনিতা মাহাতো বলেন, ‘‘সোমবার এত রান্না সারতে দেরি হয়ে গিয়েছে। রান্নার কর্মীদের মধ্যে দু’জন অসুস্থ ছিলেন। বাকি চার জন রান্না করেছেন।’’ স্কুলে ছাত্রীর সংখ্যা ৩৫০। মেদিনীপুর কলেজিয়েট বালক বিদ্যালয়ে ভাত, মুরগির ঝোলের সঙ্গে পরিবেশন করা হয় সয়াবিন-আলুর তরকারি।