চাঁদার জুলুমে প্রহৃত ব্যবসায়ী। নিজস্ব চিত্র।
একদল যুবক ৫ নম্বর রাজ্য সড়কে গাড়ি থামিয়ে সরস্বতী পুজোর চাঁদা তুলছিলেন। সোমবার সকালে এ ভাবেই একজনের কাছ থেকে চাঁদা চাইতেই গাড়ির মধ্যে থাকা শহরের এক ব্যবসায়ী জানিয়েছিলেন, সরস্বতী পুজো এখনও ১৭ দিন বাকি। তাই ক’দিন পরে চাঁদা দেবেন। অভিযোগ, এরপরই পুরাতন ঝাড়গ্রাম এলাকায় ইন্দকুড়ি মাঠের সামনে ওই ব্যবসায়ীকে জামার কলার ধরে টেনে হিঁচড়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে চলে শুরু হয় মারধর। মারের চোটে ওই ব্যবসায়ীর মুখ থেকে রক্ত বেরোতে থাকে।
এ দিন সকালে ঝাড়গ্রাম থেকে মানিকপাড়া যাওয়ার সময় পুরাতন ঝাড়গ্রামের ইন্দকুড়ি মাঠের সামনে ৫ নম্বর রাজ্য সড়কে চাঁদা তুলছিলেন কিছু যুবক। ওই ব্যবসায়ী জানিয়েছিলেন, পুজো দেরি রয়েছে। তাই পরে চাঁদা দেবেন। তারপরই ওই ব্যবসায়ীকে কিল ও ঘুষি মারে বলে অভিযোগ। জখম ওই ব্যবসায়ী নাম ভবানীশঙ্কর পণ্ডা। তাঁর বাড়ি ঝাড়গ্রাম শহরের বলরামডিহি এলাকায়। তিনি পেশায় একটি বিস্কুট কোম্পানির ঝাড়গ্রাম জেলার ডিস্ট্রিবিউটর। ঘটনার পর রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেন ওই ব্যবসায়ী। ভবানী পুলিশকে ফোন করতেই চম্পট দেন চাঁদা আদায়কারীরা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, প্রতিদিনই ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত চাঁদার নামে জুলুম চালায় একদল যুবক। টাকা না দিলে গাড়ি চালকদের হেনস্থা ও গালিগালাজ করে। এ দিন পুলিশ ঘটনাস্থলে আসা পর্যন্ত ওই ব্যবসায়ী রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকেন। ততক্ষণে তাঁর মুখ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে রক্ত। পুলিশ এসে ওই ব্যবসায়ীকে ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। ভবানীশঙ্কর পণ্ডা বলেন, ‘‘আমার বাড়ি শহরেই। তাই আমি পরে চাঁদা দেব বলেছিলাম। তাতেই আমাকে মুখে ঘুষি মারতে শুরু করল চাঁদা আদায়কারীরা।’’ এদিনই ঝাড়গ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী।
ঝাড়গ্রাম ডিস্ট্রিবিউটার অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্পাদক শোভন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,‘‘এই ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে।’’ ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘ওই ঘটনায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তল্লাশি চলছে। এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।’’