খাল ধার থেকে উদ্ধার মৃতদেহ, খুনের নালিশ

বাড়ির কাছে খালের ধার থেকে মিলল এক যুবকের মৃতদেহ। বৃহস্পতিবার সকালে নন্দকুমার থানার পিয়াজবেড়িয়া গ্রামের ঘটনা। ওই যুবকের পিঠের দিকে একাধিক জায়াগায় অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন থাকায় ওই যুবককে খুনের অভিযোগ করেছে তাঁর আত্মীয়রা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৬ ০১:১৭
Share:

শোকার্ত পরিজনরা। নিজস্ব চিত্র।

বাড়ির কাছে খালের ধার থেকে মিলল এক যুবকের মৃতদেহ। বৃহস্পতিবার সকালে নন্দকুমার থানার পিয়াজবেড়িয়া গ্রামের ঘটনা। ওই যুবকের পিঠের দিকে একাধিক জায়াগায় অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন থাকায় ওই যুবককে খুনের অভিযোগ করেছে তাঁর আত্মীয়রা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত নন্দলাল ভুঁইয়া (২৬ ) পেশায় রাজমিস্ত্রি। নন্দলাল বিয়ের পর থেকে পিয়াজবেড়িয়া গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই নন্দলালকে খুন করেছে বলে থানায় অভিযোগ করেছেন ওই যুবকের মামা মধুসূদন বর্মন। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের গোলমাল হত। তার জেরেই নন্দলালকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই যুবকের স্ত্রী, তাঁর শ্বশুর,শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে একটি কাটারি। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর সাতেক আগে গ্রামেরই মেয়ে বাসন্তীর সাথে বিয়ে হয়েছিল নন্দলালের। তাঁদের আড়াই বছরের একটি ছেলে রয়েছে। বুধবার দোলের ছুটি ছিল। এ দিন সকাল থেকে রঙ খেলে ও নেশা করে দুপুরে বাড়ি ফেরেন নন্দলাল। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৫ টা নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান তমলুক-শ্রীরামপুর রাজ্য সড়কের ধারে নিকাশি খালের ধারে নন্দলালের দেহ উপুড় হয়ে পড়ে রয়েছে। খবর পেয়ে ওই যুবকের মামাবাড়ির লোকেরা ছুটে আসেন। খবর পেয়ে নন্দকুমার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়।

এ দিন সকালে আড়াই বছরের ছেলেকে নিয়ে বসেছিলেন স্ত্রী বাসন্তীদেবী। বাসন্তীদেবী বলেন, ‘‘বুধবার সকালে বন্ধুদের রঙ খেলার পর দুপুরে বাড়ি ফিরে ভাত খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল। আমরা রাতে ঘুমিয়ে পড়ার পর ও বেরিয়ে গিয়েছিল। রাতে বাড়ি না ফেরায় বাবাকে বিষয়টা বলি।’’ মৃত যুবকের মামা মধুসূদন বর্মনের অভিযোগ, ‘‘খবরটা পেয়ে নন্দলালের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি করলেও প্রথমে কেউ বের হয়নি। এতে আমাদের সন্দেহ হয়। এরপর বাড়ির লোকজনের নানা কথায় অসঙ্গতি দেখা যায়। নন্দলালকে ওর শ্বশুররবাড়ির লোকেরাই রাতে খুন করে খালে ফেলে দিয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement