পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শনিবার রাত ন’টা নাগাদ বাডি় থেকে বার হন সম্মিলন। বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাঁকে খুঁজতে শুরু করে। খবর দেওয়া হয় পুলিশেও। রবিবার সকালে শ্যামনগর এলাকায় একটি ফাঁকা মাঠে তাঁর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই সম্মিলনের পরিবারকে খবর দেন। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাাতালে পাঠায়।
প্রতীকি ছবি
ঝাড়গ্রামের শ্যামনগর এলাকা থেকে এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হল। মৃতের নাম সম্মিলন সিংহ (২৬)। বাড়ি ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ি থানার কুশভুলা গ্রামে। মৃতের স্ত্রী পূজা সিংহের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শনিবার রাত ন’টা নাগাদ বাডি় থেকে বার হন সম্মিলন। বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাঁকে খুঁজতে শুরু করে। খবর দেওয়া হয় পুলিশেও। রবিবার সকালে শ্যামনগর এলাকায় একটি ফাঁকা মাঠে তাঁর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই সম্মিলনের পরিবারকে খবর দেন। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাাতালে পাঠায়।
মৃত যুবকের মুদির দোকান ছিল। তা ছাড়া তিনি নিয়মিত জুয়া খেলতেন বলে পরিবারের দাবি। টাকা পয়সার লেনদেন নিয়ে কারও সঙ্গে কোনও বিরোধ ছিল কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি, তাঁর বিবাহবহির্ভূত কোনও সম্পর্ক ছিল কি না তারও খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, ঝাড়গ্রাম এলাকায় নিয়মিত মাওবাদী পোস্টার নিয়ে ইতিমধ্যেই আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে এই খুনের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁরা মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আর্থিক কোনও লেনদেনজনিত সমস্যা বা জুয়া জাতীয় কোনও কিছু নিয়ে বিরোধের কারণেই এই খুন কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’