শুধু শৌচাগার থাকলেই হবে না, সেটা ব্যবহার করাও অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। গ্রামের মানুষ যাতে নিয়মিত শৌচাগার ব্যবহার করেন সেই লক্ষ্যেই আজ, সোমবার বিশ্ব শৌচাগার দিবসে দিনভর নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে গড়বেতা ৩ ব্লক প্রশাসন।
ইতিমধ্যেই এই ব্লক নির্মল ব্লকের তকমা পেয়েছে। তবে শৌচাগার নির্মাণ হলেও তা নিয়মিত ব্যবহারে অনেক ক্ষেত্রে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে বলে ব্লক প্রশাসনের কাছে খবর রয়েছে। গ্রামাঞ্চলের বহু পরিবার এখনও বরাবরের অভ্যাস মতো মাঠেঘাটে যান মল-মূত্র ত্যাগ করতে। এই বদভ্যাস কাটাতে উদ্যোগী হয়েছে ব্লক প্রশাসন। বিডিও অভিজিৎ চৌধুরি বলেন, ‘‘বিশ্ব শৌচাগার দিবসের দিন আমরা শৌচাগার নির্মাণ তো বটেই, তা নিয়মিত ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দেবো নানা কর্মসূচির মাধ্যমে।"
সোমবার ব্লক প্রশাসনের কর্মসূচি শুরু হবে সাতসকালে ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা দিয়ে। সর্বসাধারণের জন্য নয়াবসত থেকে বিডিও অফিস পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার ম্যারাথন দৌড়ে অংশ নেবেন স্থানীয়রাই। ব্লক অফিস চত্বরে দৌড়ে সফলদের পুরস্কৃত করা হবে। সেই সঙ্গে শৌচাগার নির্মাণ ও তা ব্যবহারের গুরুত্ব নিয়ে এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে বলবেন ব্লক ও পঞ্চায়েত প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এতে গ্রামবাসীরাও যোগ দেবেন। হবে অভিজ্ঞতা বিনিময়। এরপর স্কুলের ছাত্রছাত্রী, আশাকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা সহ সবাইকে নিয়ে হবে র্যালি। বিকেলে শৌচাগার ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তোলার আবেদন জানিয়ে চন্দ্রকোনা রোড এলাকায় করা হবে মোমবাতি নিয়ে পদযাত্রা। সন্ধ্যায় হবে চিত্র প্রদর্শনী। চন্দ্রকোনা রোড বাসস্ট্যান্ডে মিশন নির্মল বাংলার উপর নির্মিত স্বল্প দৈঘ্যের একটি চলচ্চিত্র দেখানো হবে প্রকাশ্যে। যাতে সেই সিনেমা দেখে গ্রামের সাধারণ মানুষ নিয়মিত শৌচাগার ব্যবহারে অভ্যস্ত হন।
শৌচাগার দিবসের কর্মসূচিগুলিতে বহু মানুষকে সামিল করতে উদ্যোগী হয়েছে ব্লক প্রশাসন। যুগ্ম বিডিও শিলাদিত্য জানা বলেন, ‘‘প্রথম পর্যায়ে এই ব্লকে সরকারি সাহায্যে প্রায় ২২ হাজার পরিবারে শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে, এটা তো ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, এই কাজ আমাদের চলছে, মানুষকে সচেতন করতে নানা কর্মসূচি নিয়েছি। সেই কর্মসূচিতে গ্রামের বহু মানুষকে শামিল করা হবে।’’