বিজেপি-সিপিএম জোটকে হারিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরে সমবায় নির্বাচন জিতল তৃণমূল। ফাইল ছবি।
তৃণমূলকে রুখতে রাম-বাম জোট! তবুও শেষরক্ষা হল না। শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে একটি সমবায় সমিতির ভোটে বাম, বিজেপির অলিখিত জোটকে পরাজিত করে সবক’টি আসন জিতে নিলেন তৃণমূল প্রার্থীরা। ফল স্পষ্ট হওয়ার পরেই আবিরখেলায় মেতে ওঠেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। পথচলতি মানুষকে মিষ্টিমুখও করানো হয়।
নন্দকুমার মডেলেও আর কাজ হচ্ছে না। একই জেলায় বাম, বিজেপির অলিখিত জোট মুখ থুবড়ে পড়ল আবার। এগরার ১ এর নেগুয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচন। মোট আসন ১২টি। তাতে ভাগাভাগি করে প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি এবং সিপিএম। সবক’টি আসনেই ছিলেন তৃণমূল প্রার্থীরাও। বিজেপি প্রার্থীরা ৮টি আসনেই হেরেছেন, সিপিএমের ৪ প্রার্থীও হারেন। সব মিলিয়ে ১২টি আসনই ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল।
তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী তথা সমবায় সমিতির প্রাক্তন সম্পাদক অর্ধেন্দু দাস মহাপাত্র বলেন, “এই জয় আমাদের কর্মীদের জয়। আমরা ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছি। আমাদের প্রার্থী সর্বোচ্চ ৫৫৭ ভোট পেয়েছেন, আর বিরোধী প্রার্থী সর্বোচ্চ পেয়েছেন ১৬০টি ভোট।’’ এই ঘটনায় ঘাসফুল শিবিরে উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। সবুজ আবির মাখিয়ে দেওয়া হয় সবাইকে, মিষ্টিমুখ করানো হয় পথচলতি মানুষকে। তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তরুণ মাইতি বলেন, ‘‘রাম-বাম জোটকে পরাজিত করেছে তৃণমূল। মানুষ অশুভ আঁতাঁত বুঝে গিয়েছে। এই অনৈতিক জোটকে মানুষ পঞ্চায়েতেও পরাস্ত করবে।’’
এ দিকে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াইয়ের কথা অস্বীকার করেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সিপিএমের সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি। তিনি বলেন, “আমরা স্পষ্ট করে দিয়েছি কোনও জায়গাতেই বিজেপির সঙ্গে কোনও জোট নেই। এটা তৃণমূলের রটনা। বাম সমর্থকদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য এই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমরা এগরায় যত জন প্রার্থী পেয়েছি, তত গুলি আসনেই লড়াই করেছি। জোটের কোনও ব্যাপারই নেই।’’
তবে তৃণমূলের এই জয় আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও ছাপ ফেলবে না বলেই দাবি বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি অসীম মিশ্রের।