Contai

শুভেন্দুর সভায় মাইক বিতর্ক, কোর্টে বিজেপি

২১ ডিসেম্বরের সভা নিয়ে ফের বিতর্ক দেখা দিয়েছে। মহকুমাশাসকের তরফে সভার অনুমতি দেওয়া হলেও দুপুর ২টো থেকে সন্ধ্যে সাতটা পর্যন্ত মাইক বাজানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:৫৩
Share:

মাইক বিতর্কে শুভেন্দু অধিকারী। — ফাইল চিত্র।

হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে আগামী ২১ ডিসেম্বর নিজের শহর কাঁথিতে জনসভা করবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার ১৯ দিনের মাথায় পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে কাঁথিতে শুভেন্দুর পাল্টা জনসভা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক উত্তেজনায় ফুটতে শুরু করেছেশহর কাঁথি।

Advertisement

তবে ২১ ডিসেম্বরের সভা নিয়ে ফের বিতর্ক দেখা দিয়েছে। মহকুমাশাসকের তরফে সভার অনুমতি দেওয়া হলেও দুপুর ২টো থেকে সন্ধ্যে সাতটা পর্যন্ত মাইক বাজানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আর তাতেই বেঁকে বসেছে বিজেপি নেতৃত্ব। সভার দিন সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মাইক বাজানোর অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে সোমবার মামলা দায়ের করেছে বিজেপি। সেই সঙ্গে দ্রুত মামলার শুনানির আবেদনও জানানো হয়েছে। কাল, মঙ্গলবার শুনানির দিন ধার্য করেছে হাইকোর্ট।

শুভেন্দুর সভার সমর্থনে যেমন ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণ লাগানো হয়েছে সর্বত্র। তেমনই সেই সব ব্যানার এবং তোরণ ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কাঁথি শহরের একাধিক জায়গায়। বিজেপি নেতৃত্ব আঙুল তুলেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও এখনও এ ব্যাপারে কাঁথি থানায় বিজেপির তরফে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

গত ৩ ডিসেম্বর কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজের মাঠে জনসভা করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্নীতি ইস্যুতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে ১৫ দিনের মধ্যে হিসাবের খাতা নিয়ে আসার প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন অভিষেক। তারপরই একই মাঠে সভা করার কথা ঘোষণা করেন শুভেন্দু ও জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ফ্যান ক্লাবের ব্যানারে খেলার আসর থাকায় মাঠে সভার অনুমতি দেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। এতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা। পরে ২১ ডিসেম্বর সভার অনুমতি দিতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। অনুমতি পাওয়ার পর সভার প্রস্তুতি শুরু করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। গোটা সাংগঠনিক জেলা জুড়েই লেখা হয়েছে দেওয়াল।কাঁথি শহর জুড়ে ব্যানার এবং ফেস্টুন লাগানো হয়েছে। একাধিক জায়গায় তৈরি করহয়েছে তোরণ।

কাঁথি পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা বিজেপির নগর মণ্ডল সভাপতি সুশীল দাস বলেন, ‘‘রবিবার গভীর রাতে শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় দলের পোস্টার এবং তোরণ ছিঁড়ে দিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। শহরের মূল রাস্তায় এই ধরনের ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন চুপ।’’ যদিও এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে দলের কেউ জড়িত নয় বলে দাবি তৃণমূলের। কাঁথি শহর তৃণমূলের সভাপতি হরিসাধন দাস অধিকারী বলেন, ‘‘"রাজ্য নেতৃত্ব শুভেন্দুকে বয়কট করেছে। তাই সভায় লোক হবে না আগাম বুঝতে পেরে নিজেরা ব্যানার এবং পোস্টার ছিঁড়ে প্রচারের আলোয় থাকতে চাইছে বিজেপি।’’

তবে বুধবার শুভেন্দুর সভার দিন পাল্টা কাঁথিতে ‘বেইমান মুক্ত দিবস’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। কাঁথি শহরের সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে সভার অনুমতি নিয়েছিলেন শাসক দলের নেতারা। তবে ওই কর্মসূচি বুধবার হবে না বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। শহর যুব তৃণমূলের সভাপতি সুরজিৎ নায়ক বলেন, ‘‘২১ ডিসেম্বরের কর্মসূচি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।’’ যদিও কী কারণে ঘোষিত কর্মসূচি থেকে সরে এল তারা সে ব্যাপারে শাসক দলের কোউ কোনও মন্তব্য করেনি।

একই দিনে দুই রাজনৈতিক দলের পৃথক কর্মসূচি ঘিরে সংঘাতের আশঙ্কাতেই শাসক দল কর্মসূচি পিছিয়ে দিয়েছে, মত রাজনৈতিক মহলের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement