Sreenu Naidu

শ্রীনু হত্যায় বেকসুর খালাস পেয়ে ভারতীকে বিঁধলেন রামবাবু, পাল্টা দিলেন বিজেপি নেত্রী

জেলার তৎকালীন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ তাঁকে ‘জোর করে’ গ্রেফতার করেছিলেন। এমনই অভিযোগ বাসব রামবাবুর। ভারতী যদিও তা অস্বীকার করেছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৩ ১৯:০২
Share:
Basab Ram Babu who was acquitted on Sreenu Naidu murder case alleges against former police super Bharati Ghosh

বাসব রামবাবু (বাঁ দিকে), ভারতী ঘোষ (ডান দিকে) — ফাইল চিত্র।

জেলার তৎকালীন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ তাঁকে ‘জোর করে’ গ্রেফতার করেছিলেন। খড়্গপুরের রেল মাফিয়া শ্রীনু নাইডুকে খুনের ঘটনায় বেসকুর খালাস পাওয়ার সপ্তাহ দুয়েক পর বাড়িতে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এমনটা অভিযোগই করলেন বাসব রামবাবু। তাঁর এই অভিযোগ নিয়ে ভারতীর পাল্টা প্রশ্ন, ওঁর এই অভিযোগ আদালতকে বলেননি কেন?

Advertisement

২০১৭ সালের ১১ জানুয়ারি খড়্গপুর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে নিউ সেটলমেন্ট এলাকায় তৃণমূলের ওয়ার্ড কমিটির কার্যালয়ে ছিলেন শ্রীনু। সেই সময় কয়েক জন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী গুলি করে খুন করে শ্রীনুকে। হামলায় মৃত্যু হয় ধর্মা রাও নামে শ্রীনুর এক শাগরেদেরও। জখম হন তিন জন। ওই কাণ্ডে রামবাবু-সহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সাড়ে ছ’বছর পর গত জুন মাসের শেষ লগ্নে ওই মামলা থেকে বেকসুর খালাস পান রামবাবু। ছাড়া পান আরও ১২ জন। শনিবার খড়্গপুরের মালঞ্চ এলাকার বাড়িতে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে রামবাবু দাবি করেন, শ্রীনুর হত্যার সময় তিনি আদালতের নির্দেশে খড়্গপুরের বাইরে ছিলেন। কারা ওই ঘটনা ঘটিয়েছে তা তিনি কিছুই জানেন না বলেও দাবি করেন। তাঁর বক্তব্য, ওই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পর যে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল তাতে তাঁর নাম ছিল না। এক জনকে গোপন জবানবন্দির মাধ্যমে তাঁর নাম জোর করে বলিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলেও দাবি করেন রামবাবু। এ নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের তৎকালীন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি।

এক সময় রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ওঠাবসা ছিল রামবাবুর। তবে ভবিষ্যতে রাজনীতিতে তিনি নাম লেখাবেন না বলেই জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘শান্তিতে থাকতে চাই। পরিবার নিয়ে থাকতে চাই।’’ আগামিদিনে জমি কেনাবেচা, প্রোমোটিংয়ের মতো ব্যবসা করার ইচ্ছা আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

রামবাবুর অভিযোগ নিয়ে বিজেপি নেত্রী ভারতী বলেন, ‘‘ওঁর এমন অভিযোগ থাকলে আদালতকে বলেননি কেন? উনি যে গুন্ডারাজ খড়্গপুর শহরে শুরু করেছিলেন তা আমি বন্ধ করে দিয়েছিলাম। আমি পুলিশ সুপার থাকি বা না থাকি, উনি যদি আবার গুন্ডামি শুরু করেন তা হলে আইনের সাহায্য নিয়ে কী ভাবে ওঁকে শাস্তি পাওয়াতে হয় তা আমি ভাল করে জানি। উনি যেন ভুলে না যান যে, আরও একটি মামলায় উনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তাতে খড়্গপুর শহরে ওঁর ঘোরাফেরা করার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement